• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লাইনে বাংলাদেশের ইঞ্জিনের মহড়া অনুষ্ঠিত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলো বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার হলদিবাড়ি ব্রডগেজ সেকশন রুটে নবনির্মিত রেল লাইনটি। 

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর/২০২০) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের (জিরো ল্যান্ড) বাংলাদেশে রেলওয়ের ইঞ্জিনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।  বাংলাদেশের ইঞ্জিনটি নো-ম্যানস ল্যান্ড সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যান ইঞ্জিন চালক(লোক মাস্টার) মনিরুল ইসলাম ও সহকারী চালক আব্দুল মান্নাফ। 

এর আগে বাংলাদেশ অংশের নতুন রেলপথটির ইঞ্জিনের মহড়া সূচনায় চিলাহাটি স্টেশন থেকে ফিতা কেটে উদ্ধোধন করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী। সেখানে মোনাজাত পরিচালনা করেন রেলের পাকশি বিভাগের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। দোয়া শেষে জেলা প্রশাসক সহ ইঞ্জিনে করে মহড়ায় অংশ নেন নীলফামারী ৫৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মামুনুল হক, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আল-ফাতাহ্ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা আনন্দ মোহন চক্রবর্তী, পাকশী বিভাগীয় সিগন্যাল ও টেলিকম প্রকৌশলী রুবাইয়াত শরীফ, বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর চীফ ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম, চিলাহাটি রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপসহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম ও গণমাধ্যম কর্মীরা। 

ভারতের হলদিবাড়ি সীমানার নোম্যান্স ল্যান্ডে বাংলাদেশের মহড়ার ইঞ্জিনটি পৌছলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান ভারতীয় উত্তরপূর্বসীমান্ত রেলের চীফ ইঞ্জিনিয়ার ভিকে সিনহা, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন) এনজেপি ভিকে মিনা, ডি.এস.টি.ই সুভাস সরকার, সিনিয়র এডিএন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুমার, এ.এস.টি.ই বিনোদ কুমার, সিনিয়র মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ার বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ। সেখানে ঘন্টাখানেক উভয়দেশের প্রতিনিধিরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাফল্যের সঙ্গে ইঞ্জিন মহড়া হল। আশা করছি চলতি বছরের বিজয় দিবসকে সামনে রেখে অচিরের এই পথে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করবে।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আল-ফাতাহ্ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোন রকম সমস্যা ছাড়াই ট্রায়াল রান সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা সেখানে ঘন্টাখানিক অবস্থান করেছি। রেল লাইনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৃথকভাবে ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন বিছানোর কাজ বাকী রয়েছে। এটি ১৬ ডিসেম্বরের আগে শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন- চিলাহাটি থেকে  ঢাকা ও খুলনা পর্যন্ত রেলপথ আধুনিকায়ন রেলপথ রয়েছে। চিলাহাটি থেকে ঢাকা খুলনা রাজশাহী সরাসরি ট্রেন চলাচল রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের স্থানে যেখানে দুই দেশের রেললাইন সংযুক্ত হয়েছে সেই স্থানটি বিশেষ ভাবে চিহিৃত করা হয়েছে। বাংলাদেশের অংশে লাল-সবুজ ও ভারতীয় অংশে লাল সাদা। তারপর নো-ম্যান্সল্যান্ড। নো-ম্যান্স ল্যান্ড পেরিয়ে তারকাটা বেড়া। তারকাটার বেশকিছু অংশ কেটে সেখানে ভারতের পক্ষে নির্মাণ করা হয়েছে খাচার মতো করে দরজা। দুই দেশে ট্রেন প্রবেশের সময় সেই দরজা খুলে যাবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here