চক্ষু চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয় না বীরগঞ্জবাসীর
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৯
Find us in facebook
জ্বলন্ত প্রদীপের মত আলো ছড়িয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন। ৬০ বছরের বয়স্ক একজন বৃদ্ধা, যার কর্ম দক্ষতা, উদ্দীপনা, মানব সেবায় আগ্রহ যে কোন তরুণকেও হার মানায়। এমন কর্মপাগল, পরোপকারী, মানবপ্রেমিক স্বল্প সংখ্যক মানুষ আছেন যারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের মঙ্গল কামনায় আত্ন নিয়োগ করেন। তরুণ্যের প্রতিক এই প্রবীণ মানুষটি লোকালয় থেকে অনেক দুরে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সুস্থ থাকার যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তা সবার সবসময় সম্ভব হয়ে উঠে না। তার মানব সেবার প্রতিষ্ঠানিক রূপ বিবি কাঞ্চন চক্ষু হাসপাতাল। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে ডাক্তার হয়েছেন মাটি ও মানুষের সেবা করার জন্য। চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষদের আর শহরে যেতে হয় না উল্টা শহরের মানুষেরাই এখন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন বিবি কাঞ্চন চক্ষু হাসপাতালে। ছোট বেলা থেকেই মানব সেবার এ স্বপ্ন দেখতেন। মনে স্বপ্ন, বুকে সাহস এবং মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সফল চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বীরগঞ্জ ১০ নং মোহনপুর ইউনিয়নের ভগির পাড়া গ্রামের মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল গফুর কাঞ্চন বিবি'র পুত্র এম এ লতিফ, তিনি চাকুরীকালীন সময়ে অনুভব করেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করে গ্রামের মানুষগুলো চক্ষু চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে সীমাহীন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কিন্তু সুচিকিৎসা পান না। এটা তার মনকে ব্যথিত করে। গ্রামের মানুষের ভোগান্তি আর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তাকে গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য করেছে। গ্রামে এসে মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করেন। প্রথমে প্রত্যেক শুক্রবার নিজ গ্রামের চক্ষু রোগিদের পরামর্শ দিতে শুরু করেন। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এলাকাবাসীর অনুরোধ এবং মাটির টানে গ্রামেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অত:পর মায়ের নির্দেশে ২০০১ সালের ১জুন নিজস্ব জমির উপর একটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মায়ের নামানুসারে হাসপাতালের নামকরণ করা হয় বিবি কাঞ্চন চক্ষু হাসপাতাল। মায়ের মৃত্যুর পর নিজেকে উৎসাহিত করলেন স্বপ্ন বাস্তবায়নে। কয়েক বছরের মধ্যেই পুর্নাঙ্গ আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হয় বিবি কাঞ্চন চক্ষু হাসাপাতাল। কারো কাছে সাহায্যের হাত না বাড়ালেও কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীর সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যান তিনি।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ লতিফ জানান, ১৯৫৩ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহ করেন তিনি। পিতা- মৃত আলহাজ্ব আব্দুল গফুর পেশায় একজন কৃষক এবং মাতা মৃত কাঞ্চন বিবি একজন আদর্শ গৃহিণী ছিলেন। পিতা- মাতার ৬ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। গ্রামের স্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণিতে তৎকালীন বোচাগঞ্জ সার্কেলের চার থানার মধ্যে একমাত্র ছাত্র হিসেবে এবং অষ্টম শ্রেণিতে বৃহত্তম দিনাজপুরে ট্যালেন্ট ফুল বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে খানসামার মাইনর উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসিতে এবং ১৯৭০ সালে রাজশাহী সরকারী কলজ থেকে এইচএসসিতে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ণ হন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে কর্ম জীবন শুরু করেন তিনি। এমবিবিএস পাশ করে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে কর্ম জীবন শুরুর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০ বছর ইরান এবং ইরাকে চাকুরী করেন। দেশে ফিরে এসে ঢাকায় ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জেন এবং প্রশিক্ষক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ লতিফ জানান, মাত্র ২০ টাকা টিকিটে চিকিৎসা নিতে পারবে যে কেউ। তবে দারিদ্রদের জন্য ফ্রি ব্যবস্থাও রয়েছে। সারফেস টাইলিং করা শীততাপ নিয়ন্ত্রত অপারেশন থিয়েটারসহ সেপটিক এবং মাইনর অপারেশন থিয়েটার গড়ে তোলা হয়েছে। সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজ যন্ত্রপাতি। বাবার নামে আধুনিক সেমিনার কক্ষ, প্রায় ৬ শতাধিক বই নিয়ে একটি লাইব্রেরী, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একটি পুকুর, হাসপাতাল চত্বরে দেশি- বিদেশী ফল ও ঔষধি গাছ। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হাসপাতালের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধণা দেওয়া হয়। বর্তমানে ৩ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ কর্মরত আছেন। তিনি জানান, এ অঞ্চলের জন্য আমেরিকা - বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনাজপুর ক্যাম্পাস আমার এই হাসপাতাল এলাকায় শীঘ্রই গড়ে তোলা হবে। বীরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামটি এখন স্বাস্থ্য পল্লী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। চিকিৎসা জন্য গ্রামের মানুষদের আর শহরে যেতে হয় না উল্টা শহরের মানুষেরাই এখন চিকিৎসা নিতে আসে বিবি কাঞ্চন চক্ষু হাসপাতালে।
আর বিবি কাঞ্চন হাসপাতালে সাদা মনের মানুষদের মহান কর্মের প্রতীক হয়ে মাথা উচু করে জানান দিচ্ছে, ভালো কাজের মাঝে ভাল মানুষেরা অমর হয়ে থাকে।
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- বেরোবিতে নেত্রকোনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে রাকিব -পলাশ
- বিশ্ব নাট্য দিবসে পঞ্চগড়ে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি
- ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মা মারা গেছেন
- কুড়িগ্রামে দুঃস্থদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ঢাকায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অব্যাহতি
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- ১২ বছরে প্রাথমিকে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
- রমজানে মুমিন মুসলমানের প্রতিদিনের আমল
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- সেবক হয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করে যেতে হবে : স্পিকার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু
- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ আজ
- শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে যখন
- রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- মধ্যপন্থা: মুমিনের বৈশিষ্ট্য
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস