• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গাইবান্ধায় স্বামীর চক্রান্তে মামলায় ফেঁসে গেলেন স্ত্রী!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় জিহাদুল ইসলাম জনি ও শামছুন্নাহার বেগমের। বিয়েতে যৌতুক নেয়ার শর্ত না থাকলেও পরে চার লাখ টাকা দাবি করেন জনি। যৌতুক না পেলে সংসার করবেন না বলেও জানান। একপর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন শামছুন্নাহার। সেই মামলা থেকে বাঁচতে জনি হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা দিয়ে স্ত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসান।

স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে রোববার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শামছুন্নাহার বেগম। তিনি সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামছুন্নাহার জানান, ২০১৮ সালের ২ মে পারিবারিকভাবে গাইবান্ধা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে জিহাদুল ইসলাম জনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক নেয়ার শর্ত ছিল না। অথচ বিয়ের পর চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন জনি।

তিনি জানান, যৌতুক না পেলে তার সঙ্গে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান জনি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় ওই বছরের ১৬ জুলাই স্বামী জনির বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক মামলা করেন তিনি। মামলার পর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। পরে শামছুন্নাহারের মা সদর থানায় একটি জিডি করেন।

যৌতুকের ওই মামলা থেকে রক্ষা পেতে জনি হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা দিয়ে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন শামছুন্নাহার বেগম।

তিনি জানান, মামলা মীমাংসার কথা বলে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জনি তাকে গাইবান্ধা শহরের পৌরপার্কে ডেকে নেন। সেখানে হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা রেখে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন জনি। পরে ডিবি পুলিশ শামছুন্নাহারকে তিনটি ইয়াবাসহ আটক করে। ওই ঘটনায় মাদক মামলায় তিনি একমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান।

শামছুন্নাহার আরো জানান, স্বামী জনি, প্রথম স্ত্রী মনীষা বেগম, তার বোন হাসনা বেগম ও তার স্বামী মিলন মিয়া এবং শ্যালক পিন্টু মিয়া মিলে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শামছুন্নাহার বেগমের মা নুরজাহান বেগম।য়াকতের আবেদন খারিজ

Place your advertisement here
Place your advertisement here