• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

গাইবান্ধায় স্থায়ী ঠিকানা পেল ৫০ সাঁওতাল পরিবার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধায় মরাবস্তাপুকুর এলাকায় বসবাসরত ৫০টি সাঁওতাল পরিবার পেয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। এ ঘটনায় সাঁওতাল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তারা জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯শ’ ৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার মরাবস্তাপুকুর এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রত্যেক সাঁওতাল পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ একটি করে আধা-পাকা ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে রয়েছে দুটি করে শয়ন কক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট ও একটি উন্মুক্ত বারান্দা। ঘরের মেঝে পাকা এবং ওপরে টিনের চাল।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে সাঁওতাল পরিবারগুলোকে এসব ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্য সাহেলা হেমরন (৩০) তার পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মরাবস্তাপুকুর এলাকায় সরকারি খাস জমিতে একটি খুঁপড়ি ঘরে গত ১৫ বছর ধরে বসবাস করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হেমরন জানান, আমাদের নিজেদের জায়গা থাকবে, আধা-পাকা ঘরে ঘুমাবো, এটা তো আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ। নতুন ঘর পেয়ে আনন্দাশ্রু মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন হেমরন।

হেমরনের মতো ৬৫ বছর বয়সী সরদার সরেনও একটি ঘর পেয়েছেন। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এ বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি তার জীবনের প্রায় পুরো সময়টাই কাটিয়েছেন একটি খুঁপড়ি ঘরে। শেষ জীবনে এসে তিনিও প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় খোঁজ পেয়েছেন স্থায়ী ঠিকানা। 

আবেগাআপ্লুত সরদার সরেন চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, এই ঘরটি আমার কাছে শুধু একটি ঘর নয়। এটি একটি স্বপ্ন। একটি স্থায়ী ঠিকানা। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে, নিজ ঘরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ইউএনও রাম কৃষ্ণ বর্মণ জানান, মরাবস্তাপুকুর এলাকায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ৫০টি পরিবারসহ তার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ৭০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের প্রত্যেককে একটি করে আধা-পাকা ঘর উপহার দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ পরিবারগুলোর জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং অবশিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারগুলোকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য কাজ করছেন তারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, তিন পার্বত্য জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়িতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারগুলোকেও একই ধরনের ঘর উপহার দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় মোট ৪ হাজার ৫শ’ পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here