• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

গাইবান্ধায় ছোটবোনের জন্য এক পদে ৬ বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি!

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

আত্মীয়দের বেতনভুক্ত করে স্কুল চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ইউপির কাঠগড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ছোট বোনকে নিয়োগের জন্য একই পদে ছয়বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

বুধবার স্থানীয় দুই অভিভাবক এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেনের কাছে দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগ অনুসারে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলীর ছোট বোন রওশন আরাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতেই চার বছরে ছয়বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর প্রতিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কারণ ছাড়াই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলও করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদনকারীরা কেন্দ্রে গেলেও পরীক্ষা না নিয়ে তাদের ফেরত পাঠানোর একাধিক ঘটনা ঘটে। শুধু তাই বিদ্যালয়ের চার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে ছোট বোনকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী। 

অভিযোগে আরো বলা হয়, এরইমধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে লাইব্রেরিয়ান পদে প্রধান শিক্ষক তার শ্যালক রফিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী পদে ভাতিজা আব্দুল মালেককে নিয়োগ দিয়েছেন। আর নতুন এই দুইজনসহ ওই বিদ্যালয়ে কর্মরতদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের নিকট আত্মীয়র সংখ্যা নয়জন। যা বিদ্যালয়টির মোট শিক্ষক-কর্মচারীর প্রায় অর্ধেকের সমান।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী জানান, নিয়োগের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবে আমি আমার বোনকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছি, বিষয়টি সঠিক নয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, নিয়োগের বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রংপুরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here