• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গাইবান্ধায় আবারও বাড়তে শুরু করছে করোনা, নতুন আক্রান্ত-৭

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধা জেলায় গত বছরের মার্চ মাসের ২২ তারিখে প্রথম দুইজন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর জেলাটিতে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণের সংখ্যা। সেটি কয়েক মাস আগে কমতে থাকলেও, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করছে। এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৬১ জনে। এর মধ্যে মত্যু হয়েছেন ২০ জন রোগীর।

বুধবার (২১ এপ্রিল) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছেন। 

জানা যায়, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২৪ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ে এখানেও।এর সংক্রমণ বিস্তার শুরু থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আট হাজার ৪৮৪ জন সন্দেহভাজন করোনা রোগীর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, রংপুর ও বগুড়া টিএমএসএস পিসিআর ল্যাব থেকে আট হাজার ২৮৭ জনের ফলাফল প্রাপ্ত হয়। এতে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৬৬১ জন। শনাক্ত এসব রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক হাজার ৫১৫ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। বর্তমানে ১২৬ জন রোগি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে, গাইবান্ধা জেলায় করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি ২৫ টি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে রোগীদের জন্য বেড রয়েছে ৬৭১ টি। চিকিৎসাসেবায় ১৫৪ জন ডাক্তার ও নার্স রয়েছেন ২০৯ জন। তারা শুধু মাত্র করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকছেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জরুরি চিকিৎসায় স্থানান্তরের নিমিত্তে পৃথকভাবে ২ টি এ্যাম্বুলেন্স ও ২ টি মাইক্রোবাস প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে ১০০ বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. আ ম আখতারুজ্জামান বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য সকল সামগ্রীসহ ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার সামগ্রীও মজুদ রাখা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায়  রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কোভিডের বর্জ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। আগের তুলনায় সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী মাঠে কাজ করছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here