• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

গাইবান্ধায় অগ্নিদগ্ধ মায়ের জন্য কাঁদছে ৩৩ দিনের সন্তান সৌরভ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূ আধুরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ওই নারীর ৩৩ দিন বয়সী সৌরভ মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে বারবার কাঁদছে। তবে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বায়োমিল্ক খাওয়ানো হচ্ছে। শি সৌরভের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেছেন।

রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে দগ্ধ গৃহবধূকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছে।  

জানা গেছে, এক বছর আগে কুড়িগ্রামের কাঠালবাড়ি এলাকার আদুরীকে বিয়ে করেন সুন্দরগঞ্জের মিজানুর রহমান। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউপির রামধন ফুলবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে বিয়ের পর আদুরীকে বগুড়ায় একটি ভাড়া বাসায় রাখলেও বাড়িতে তোলেননি। এমনকি কোনো যোগাযোগ না রাখায় স্বামীর সন্ধানে শনিবার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম থেকে রামধন ফুলবাড়ি গ্রামে স্বামী মিজানুরের বাড়িতে আসেন আদুরী বেগম। 

দিনভর অপেক্ষা করেও সতীন খুশি বেগম ও স্বামীর স্বজনদের বাধার মুখে বাড়িতে উঠতে না পেরে রাতে শিশু সন্তানকে রেখে নিজের গায়ে আগুন দেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ আদুরীকে ওই রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। বর্তমানে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

শনিবার রাতে নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শিশুটিকে মিজানুরের চাচির কাছে রেখে যান আদুরী। এ সময় শিশুটির যত্ন ও মায়ের মমতায় রাখতে অনুরোধ করেন ওই গৃহবধূ। তার কিছুক্ষণ পরেই ওই গৃহবধূর আত্মচিৎকার শুনে গিয়ে দেখতে পান অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। এরপর ওই নারীর শরীরের আগুন নিভানোর পর রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ জানান, ওই নারীর শরীরে অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানান।

আদুরীর সতীন খুশি বেগম বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেই। পরে সে চাচার বাড়িতে অবস্থান নেয়। ঘটনার পরের দিন শালিসে মীমাংসা করার কথা ছিলো, কিন্তু তিনি ওইদিন এ ঘটনা ঘটায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি এস এম আবদুস সোবহান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here