• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

খালেদার সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হতে চললেও মাথা ব্যথা নেই বিএনপির

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

আগামী ২৫ মার্চ শেষ হতে চলেছে একাধিক দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দ্বিতীয় দফায় সাজা স্থগিতের মেয়াদ। পুনরায় সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা আবেদন করা হলেও এ বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই দলটির হাইকমান্ডের।

দায়িত্বশীল সূত্র মতে, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয় আরো ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ। মুক্তির পর থেকে গত ১১ মাস ধরে তিনি অবস্থান করছেন গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের তত্ত্বাবধানে। আর দেখভাল করছেন গৃহকর্মী ফাতেমা। গোসল থেকে শুরু করে সব কাজে তিনি খালেদাকে সহায়তা করেন। 

দলীয় সূত্রমতে, দলের ক্ষমতা খালেদা জিয়ার হাত থেকে এখন তারেক রহমানের হাতে চলে গেছে। তাই একে একে খালেদাপন্থী নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। তারা আর খালেদা জিয়ার খোঁজখবর রাখেন না। 

তবে বিষয়টিকে ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে এক প্রকার গৃহবন্দী করে রেখেছেন তার ছেলে তারেক রহমান। তিনি তার পছন্দের কিছু নেতাকর্মী ছাড়া অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেন না খালেদাকে। শুধু তাই নয়, ‘ফিরোজা’র দারোয়ানকেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রদত্ত তালিকার বাইরে অন্য কেউ যেন অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। করলেই তার চাকরি থাকবে না। এ কারণে শতভাগ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোন নেতা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। 

তিনি বলেন, দলীয়ভাবেও কোনো নেতাকর্মীকে খালেদার কোনো খোঁজখবর নিতে দেন না তারেক রহমান। দলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য খালেদাপন্থী সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও খালেদা জিয়াকে সাক্ষাৎ করতে দেন না তারেক রহমান।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বরাবরই তারেক রহমানের ধ্যান-ধারণা ছিলো আত্মকেন্দ্রিক। যার কারণে তিনি মাকে ঘরবন্দি করে রাজনৈতিক পুতুল বানিয়ে দলের ক্ষমতা করায়ত্ত করেছেন। বেগম জিয়া মুক্ত হয়ে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসুক এটা তিনি চান না। যার ফলেই দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কৌশলে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বিএনপি নেত্রীকে। সিনিয়র নেতারাও নির্বিকার হয়ে কোনো খোঁজখবর নেন না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here