• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

খালেদার জামিনের পরও বিএনপিতে হতাশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির ৩ মাস পার হলেও দল গোছাতে তার মনোযোগ নেই বলে অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। তাকে গত ২৫ মার্চ বিশেষ বিবেচনায় চিকিৎসার জন্য ৬ মাসের জামিন দেয়া হয়েছিলো। ওইদিনই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান তিনি। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ মাস পর মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের মধ্যেও একটা চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিলো। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাই আশা করেছিলেন, খুব শিগগিরই খালেদা জিয়া খোলস ছেঁড়ে বের হবেন। বিএনপি আবার শক্তিশালী হবে। কিন্তু গত ৩ মাসে বিএনপির মধ্যে যে উত্তেজনা, চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিলো তা আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে গেছে এবং বিএনপির মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে হতাশা আরো বেড়েছে। এই সময়ে খালেদা জিয়া একমাত্র তার পরিবারের সদস্য এবং লোকজন ছাড়া কারো সঙ্গেই তেমন দেখা-সাক্ষাৎ করছেন না। 

গত ঈদে খালেদা জিয়া বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া তিনি দু-একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু এই সমস্ত সৌজন্য সাক্ষাতের পর রাজনীতিতে খালেদা জিয়া প্রভাব রাখার মতো কোনো কিছু করেননি।

জিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়া বেশ অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছে, যেহেতু চিকিৎসার জন্যেই জামিনে বের হয়েছেন সেহেতু তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহী নন। তবে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া আসলে রাজনীতির উপরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন একাধিক কারণে।

প্রথমত, তিনি যখন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হলেন তখন তিনি ভেবেছিলেন, তার দল তার জন্য বড় আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু বাস্তবে দল কার্যকর আন্দোলন তো দূরের কথা, নূন্যতম আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়া তার জন্য যে আইনি লড়াই হয়েছে, সেই আইনি লড়াই নিয়েও সন্দিহান। তিনি মনে করছেন, তার আইনজীবীরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় এবং যথাযথভাবে আইনি লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি।

তৃতীয়ত, খালেদা জিয়া দেখছেন যে, বিএনপিতে এখন তার চেয়ে তারেক জিয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তারেক জিয়ার অনেক কথাই শোনা হয়, অনেককিছু তাকে না জানিয়েই করা হয়। এই কারণে তিনি হতাশাগ্রস্ত।

চতুর্থত, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কঠিনভাবে বলা হয়েছে, তিনি জামিনে বের হয়েছেন। কাজেই কোনোরকম বিতর্কিত বক্তব্য বা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়ালে যদি তার জামিন বাতিল হয়ে যায় বা কোন খারাপ পরিণতি আসে, তবে সেগুলোর দায়িত্বভার তাকেই বহন করতে হবে।

খালেদা জিয়াও এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে হিসাব-নিকাশ করেছেন এবং তিনি বর্তমানের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। 

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চালানো হচ্ছে, কিন্তু ইতিমধ্যেই জামিনের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেছে বিধায় তারা জামিনের সময় বাড়ানোর জন্যে চেষ্টা ও তদবির চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক অবস্থান নিলে খালেদা জিয়ার জামিন বা মুক্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিল হয়ে উঠতে পারে। এজন্য খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রয়েছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here