• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ক্ষমা ও রহমত লাভের দোয়া

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা ও রহমত লাভের অনেক দোয়া নাজিল করেছেন। আর দোয়ার এসব আয়াতগুলো নাজিলের পেছনে ছিল অনেক কারণ ও নিদর্শন। যা মুমিন মুসলমানের জন্য অনুকরণীয় ও সুমহান শিক্ষা।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম নিজ ভাই হারুন আলাইহিস সালামের ওপর একটি ঘটনার কারণে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলন। যখন তার রাগ কমে আসে তখন তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের জন্য এবং তার ভাইয়ের জন্য এ দোয়া করেছিলেন।

আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের ক্ষমা ও রহমত লাভের সেই দোয়াটি এভাবে তুলে ধরেছেন-

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফিরলি ওয়া লিআখি ওয়া আদখিলনা ফি রাহমাতিকা ওয়া আংতা আরহামুর রাহিমিন।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করো আমাকে আর আমার ভাইকে এবং আমাদের উভয়কে তোমার রহমতের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যে সর্বাধিক করুণাময়। (সূরা: আরাফ, আয়াত: আয়াত ১৫১)।

উল্লেখ্য হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে ৩০ দিন ও ৩০ রাত ধ্যানমগ্নের জন্য তুর পাহাড়ে গিয়েছিলেন। সে সময়ের জন্য নিজ ভাই হজরত হারুন আলাইহিস সালামকে কাওমের দেখা শোনার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ৩০ দিন ৩০ রাত ধ্যানমগ্ন থাকার কথা থাকলেও আল্লাহ তায়ালা তা ১০ দিন বাড়িয়ে দেন। যার ফলে বনি ইসরাইল জাতি এ সময় গো-বাছুর পুজায় লিপ্ত হয়। আর তাতে হজরত হারুন আলাইহিস সালাম বাধা প্রদান/নিষেধ করলে, পুরো কাওম তার ওপর রেগে যান এবং তাকে হত্যা করতে উদ্যত হন।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তুর পাহাড়ে থাকতেই ওহির মাধ্যমে গো-বাছুর পুজার কথা আল্লাহর কাছে জানতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে শোনার পর তা বাস্তবে এসে দেখায় তিনি রাগ সামলাতে পারেননি।

নিজ ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে তিনি দোষারোপ করেন এবং তার মাথার চুল ধরে টেনে নিজের দিকে নিয়ে আসেন। তখন হজরত হারুন আলাইহিস সালাম নিজ ভাইকে বললেন, ভাই! এ কাজে আমার কোনো দোষ নেই। সম্প্রদায়ের লোকেরা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দেয়নি। আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম। বরং তারা আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে।

কাজেই আমার সঙ্গে এমন কোনো ব্যবহার করবেন না, যাতে আমার ও আপনার শত্রুরা খুশি হয়ে যায়। আর আমাকে তাদের এ ভ্রষ্টতার মধ্যে শামিল আছি বলে ভাববেন না। ভাইয়ের মুখে এ কথা শুনে তখন হজরত মুসা আলাইহিস সালামের রাগ কমে যায়। আর মুসা আলাইহিস সালাম তখন নিজের জন্য, নিজ ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত লাভের দোয়া করেন।

এ দোয়াটি মহান আল্লাহর এত অধিক পছন্দ হয়ে যায় যে, আল্লাহ তায়ালা তা উম্মতে মুহাম্মাদির ক্ষমা ও রহমত লাভের জন্য তুলে ধরেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হজরত মুসা আলাইহিস সালামের ক্ষমা ও রহমত লাভের দোয়ার মাধ্যমে নিজেদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here