• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কোল্ড স্টোরেজ সংকট, আলু নিয়ে বিপাকে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

গত বছর আলুর ভাল দাম পেয়ে এ বছর বেশি পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ করেন কৃষকরা। আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদনও হয়েছে বেশ ভাল। কিন্তু কোল্ড স্টোরেজে জায়গা না পাওয়ায় নামমাত্র মূল্যে ক্ষেত থেকে আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। ফলে ভাল ফলন পেয়েও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা।

জানা গেছে, গত বছর করোনার কারণে সবজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আলুর কদর ছিল সারা বছর জুড়ে। সে কারণে আলুর দাম ছিল আকাশচুম্বি (৩০-৪০) টাকা। এ কারণে এ বছর কৃষকদের একটা বড় অংশ এ বছর আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েন। আবাদও হয়েছে বেশ ভাল। বিঘা প্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ মন। অনেক চাষি উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন হিমাগারে ঘুরেন। কিন্তু স্লিপ পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও দাম দ্বিগুন। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে পানির দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে কেজি প্রতি কার্ডিনাল জাতের আলু ৯-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। আর আবাদ হয়েছে ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। হেক্টর প্রতি ২৪ দশমিক ৬০ মেট্রিক টন হিসেবে অর্জিত জমিতে এ বছর সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে।

ঢোলারহাট এলাকার আলু চাষি হাসান মিয়াসহ কয়েকজন আলু চাষি বলেন,এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় আলুর ফলন ভাল হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৪০-১৫০ মণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু হিমাগারের স্লিপ পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি। তাই দেরিতে ক্ষেত থেকে আলু তুলছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করব।

রফিকুল ইসলাম, মেহেদী আহসান উল্লাহ নামে আরও কয়েকজন চাষি বলেন, বীজের দাম বেশি। সারের দাম বেশি। শ্রমিকের দাম বেশি। সব মিলে বিঘা প্রতি অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আশা করেছিলাম আলু হিমাগারে রেখে পরবর্তীতে বিক্রি করব। কিন্তু স্লিপ কোথাও মিলছে না। এ অবস্থায় ৮/৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে লোকসান দিতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু তাহের বলেন, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চাইতে অতিরিক্ত জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল। জেলায় প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু জেলায় ১৬টি হিমাগারে ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এক্ষেত্রে এ জেলার চাষিরা ইচ্ছা করলে পার্শবর্তী নীলফামারী জেলায় আলু রাখতে পারেন বলে পরামর্শ দেন তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here