• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কুড়িগ্রামে প্রবল বর্ষণ: নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভূরুঙ্গামারীতে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। 

একদিকে করোনা ভীতি অপরদিকে বন্যা, নদী ভাঙ্গন ও টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘর থেকে বেরুতে না পারায় দিন এনে দিন খাওয়া প্রান্তিক কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষেরা পরিবার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নেমে আসতে শুরু করায় নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীও ভাঙছে । অব্যহত ভাঙনে ঘরবাড়ী সরিয়ে নেয়ার সময় পাচ্ছেনা নদীপাড়ের মানুষ। টইটম্বুর হয়ে পরেছে ফুলকুমার নদী। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে কালজানি, গদাধর, দুধকুমার নদীর পানি বইছে বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে। ডুবে গেছে নদী সংলগ্ন এলাকার প্রায় সব বীজতলা ও পাটক্ষেত। এতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের।

বন্যায় শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোর, উত্তর/দক্ষিন ধলডাঙ্গা, তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিন তিলাই, দক্ষিন ছাট গোপালপুর,সদর ইউনিয়নের নলেয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা, পাইকেরছড়া, বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট ব্রীজের এপার ওপার, গনাইরকুটি বলদিয়া ইউনিয়নের ,হেলোডাঙ্গা, ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ধাউরারকুটির মানুষেরা যাপন করছে নিদ্রাহীন রাত। কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা, পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহিন শিকদার, চরভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও শিলখুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফ সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, অবিরাম বর্ষণে তাদের ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন তাঁরা।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছেন তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ১৮সে:মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফিরুজুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, আমি সম্ভাব্য বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে যাচ্ছি এবং প্রস্তুত আছি যে কোন প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য।

Place your advertisement here
Place your advertisement here