• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কুড়িগ্রামে ধানের বাম্পার ফলন, মাড়ায়ে ব্যস্ত কৃষক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে ধানের বাম্পার ফলন হইয়েছে। ধান মাড়ায়ে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তারা জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রয় করতে না পারলে সংকটে পড়তে হবে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর ৯টি উপজেলায় ১লাখ ২২হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১লাখ ১৯হাজার ৩০৫হেক্টর। এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। এছাড়াও এবার ২লাখ ৯৩হাজার ৯৮৫জন কৃষক রোপা-আমন চাষে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

চলতি বছর কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের সংকট না থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় আবাদে বাড়তি ব্যয় করতে হয়েছে কৃষকদের। বিঘা প্রতি গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে আশানুরুপ। বিঘায় ২০ থেকে ২২ মন ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গোড়াই রঘুরায় গ্রামের কৃষক মোস্তা জানান, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় একাধিকবার তেল, সেচ, সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ ব্যবহার করতে হয়েছে। ফলন ভাল হলেও সরকারি মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে চাষের খরচ উঠবে না। 

একই এলাকার কৃষক বদিয়তুজ্জামান ও ছামাদ জানান, ধান কাটার মৌসুম এলেই বাড়তি লাভের আশায় এলাকার অধিকাংশ শ্রমিক দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পরে। ফলে শ্রমিক সংকট হয়। তিনশ টাকার শ্রমিক চারশ টাকা চেয়ে বসে। এদিকে ক্ষেতে পাকা ধান ফেলে রাখাও সম্ভব হয় না। ফলে বাড়তি মূল্যে শ্রমিক নিতে হয়।

সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের হরিশ্বর এলাকার কৃষক মোজাম ও কাশেম জানান, শ্রমিক সংকটের ফলে নারী শ্রমিকদের কাজে নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে দুশো টাকা দিলেই হয়। তবে ধান বাড়ীতে নেয়ার জন্য পুরুষ শ্রমিক বা শ্যালোচালিত ভটভটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

রোববার সকালে ৮ মন ধান বিক্রি করেছেন সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দক্ষিণ নওয়াবশের কৃষক হামিদ জামাল। মাত্র সাড়ে ৬শ’ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করায় আবাদের খরচ উঠবে না বলে জানালেন তিনি। 

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের  উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাড়তি খরচে রোপা আমন চাষ করা হলেও অধিক ফলন পাওয়ায় দাম উঠে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here