• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বাড়ছে: বাঁধে ভাঙন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে ফের ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বন্যা কবলিত মানুষেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

২১ ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি সামন্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার  ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, উজানের পানি ও অবিরাম ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আর ভারি বৃষ্টিপাত না হলে ধরলার পানি আর তেমনটা বৃদ্ধি পাবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর থাকা অবস্থায় আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পর পানি আবারো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি না নামতেই আবারো পানি বৃদ্ধি শঙ্কার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে রয়েছে।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, তার ইউপির তিন হাজার ৫০০ পরিবার প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী জীবন-যাপন করছে। এদের মধ্যে কর্মজীবী পরিবারগুলোর হাতে কোনো কাজ না থাকায় খাদ্য সংকট তীব্র হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এসব পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩৫০টি পরিবারকে সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যা যদি আরো দীর্ঘায়িত হয় তাহলে চরম সংকটে পড়বে বন্যা কবলিত মানুষেরা। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সেঙ্গ যাত্রাপুর ইউপির গরুহারা, বলদিয়া গ্রামসহ নদ-নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন ভোলা জানান, যাত্রাপুর ইউপির বলদিয়া এলাকায় গত কয়েক দিনের ভাঙনে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ঘর-বাড়ি হারানো কয়েকটি পরিবার। তারা ভাঙন ও বন্যার কারণে চরম কষ্টে দিন পার করছে।

এদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউপির সারডোব এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে এখানকার ধরলা নদী তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন।

কুড়িগ্রাম ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here