• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কর্মস্থলে নেই বছরের পর বছর: তবু চাকরিতে বহাল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে আসছেন না। এর মধ্যে ডা. সালেহীন কাদেরী ১৪ বছর ৪ মাস ও ডা. মাজেদুল ইসলাম ৯ বছর ৪ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। দুই চিকিৎসককে কর্মস্থলে ফিরতে বারবার চিঠি দিয়ে জানানোর পরেও তাদের কোনো জবাব পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সালেহীন কাদেরী ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সহকারী সার্জন ডা. মাজেদুল ইসলাম ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। 

এই দুই চিকিৎসকের মধ্যে ডা. সালেহীন কাদেরী চলে যাওয়ার সময় পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি দীর্ঘ ১৪ বছরেও। আর ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর নির্ধারিত ছুটির সময় পেরিয়ে গেলেও কর্মস্থলে অন্য চিকিৎসক না ফিরলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইলফোন বন্ধ পান তারা। 

শুধু তাই নয়, ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের সময় জমা দেয়া কাগজপত্রের ঠিকানায় কয়েকবার তাদের চিঠি দেয়া হলেও তার কোনো জবাব দেননি এই দুই চিকিৎসক। এমনকি যোগাযোগও করেননি হাসপাতালের কারো সঙ্গে। ফলে চিকিৎসক সংকটের কারণে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে। 

সূত্রে জানা গেছে, ডা. সালেহীন কাদেরী ইংল্যান্ডে চলে গেছেন ও ডা. মাজেদুল ইসলাম দেশের স্বনামধন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। 

ফুলছড়ির দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের স্কুল শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবলু বলেন, হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক পাওয়া যায় না। পাওয়া যায়না কাঙ্ক্ষিত সেবা। ফলে বেশি টাকা খরচ করে জেলা শহরের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই রোগীরা এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে যেতে চান না। দিনে দিনে একটা ভুতুড়ে হাসপাতালে পরিণত হচ্ছে এটি। 

গাইবান্ধা যুব নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক জনি বলেন, চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তা বাস্তবায়ন না করা দায়িত্বে গাফিলতি ও খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছুই না। এছাড়া আরো এক চিকিৎসক বছরের পর বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পরও চাকরিতে বহাল থাকেন কিভাবে এটা আমার বোধগম্য নয়। ওই হাসাপাতালটি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সংসদীয় আসন গাইবান্ধা-৫ এ অবস্থিত। ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ডা. সালেহীন কাদেরী ও ডা. মাজেদুল ইসলামের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অনেকবার জানানোর পরও ১৪ বছর ধরে তাদেরকে এখানে পোস্টিং দিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে ১৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ৯ জন দিয়েই কোনো মতে সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

এ বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, এসব চিকিৎসকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। তাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়েও জানানো হয়েছে বহুবার, তারপরও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে তাদের পোস্টিং দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে অন্য চিকিৎসক দেয়া হচ্ছে না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here