• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

করোনায় কুরবানি করা নিয়ে যা বলল দেওবন্দ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরে মুমিন মুসলমান ফিতরা আদায় করেন। আর ঈদুল আজহায় সামর্থবান কিংবা নিসাব পরিমান সম্পদের মালিকরা পশু কোরবানি করে থাকেন। আর তা সম্পদশালীদের জন্য ওয়াজিব বা আবশ্যক কাজ।

কেননা কোরবানি নামক ইবাদতের মাধ্যমে মুমিন মুসলমান মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করে থাকে। এ ইবাদতের মাধ্যমেই মুমিন মুসলমানের সঙ্গে মহান আল্লাহর নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। 

কোরবানির পশুর রক্ত, গোশত বা হাড় কোনো কিছুই মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং মানুষের কোরবানির করার নিয়ত বা মনের সংকল্পই মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছে। তাই এ ইবাদতের মাধ্যমেই বান্দা সহজে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।

চাঁদ দেখা সপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট অনুষ্ঠি হবে কোরবানির ঈদ। আর এ দিন মুসলিম উম্মাহ পশু জবেহের মাধ্যমেই পালন করবে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কোরবানি।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে এ সময়ে কোরবানি না করে এ অর্থ গরিব-অসহায়দের মাঝে দান করার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ সম্পর্কে দেশ-বিদেশের অনেক ইসলামিক স্কলার তাদের মতামত সুস্পষ্ট করেছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দও তাদের অনলাইন ফতোয়া সাইটে মতামত তুলে ধরেছে। কোরবানির পশু জবাই না করে সে অর্থ অন্যদের মাঝে বিতরণ সম্পর্কে তারা জানিয়েছে যে,- ‘পশু কোরবানির বিকল্প নেই। কোরবানি না করে তার অর্থ দান করা যাবে না।’

তবে কেউ যদি কোরবানির জন্য নির্ধারিত দিনে কোনো কারণে কোরবানি আদায় করতে সক্ষম না হয়; তবে কোরবানির সমপরিমাণ অর্থ গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করতে হবে বলেও জানিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ।

তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কোরবানি বিধান পালন করতে হবে। কোরবানি পরবর্তী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছে দারুল উলুম দেওবন্দ।

ঈদের নামাজ পড়া সম্পর্কে দারুল উলুম দেওবন্দ আরো ঘোষণা করে যে, ঈদুল আজহার নামাজও মুসলিমরা বাড়িতেই আদায় করবে। যেভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজ ভারতের মুসলিমরা বাড়িতে আদায় করেছিল। দারুল উলুম দেওবন্দের শরীয়াহ কাউন্সিল সবার প্রতি তা পালনে উদ্বাত্ত আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য যে, হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম পশু কোরবানির মাধ্যমে এ ইবাদত চালু করেছিলেন৷ বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়েও তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম কোরবানি আদায়ে সামর্থবান কোনো মুমিন মুসলমানেরই বিরত থাকা ঠিক নয়।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি আদায় করে আপনার নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here