• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

করোনা মোকাবিলায় দশ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে। এজন্য করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ১০ খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। আবার বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করার মতো কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে নতুন বাজেটে। জনসম্পৃক্ত ও জনস্বার্থে নেয়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশি বরাদ্দ পাওয়া খাতগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়। মোট বাজেটের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই দশ খাতের জন্য। আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

এদিকে আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার মহান জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উপস্থাপন করবেন। ইতোমধ্যে নতুন বাজেট ঘোষণার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অর্থবিভাগ। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সম্প্রতি বাজেট সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন, করোনা থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ। আগে মানুষের জীবন বাঁচান। এটিই এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। এরপরই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নতুন বাজেটে সব কর্মসূচী নেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনার নেতিবাচক প্রভাব দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এখন স্পষ্ট। দাতারা এ বিষয়ে অবগত আছেন। এ সঙ্কট উত্তরণে দাতাসংস্থাগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশা করছি, করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেয়া হবে।

এ মন্ত্রণালয়ে আগামী বাজেটে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা। শীর্ষ বরাদ্দের সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। এ বিভাগে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ২৬ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এছাড়া শীর্ষ বরাদ্দের ৮ম তালিকায় আছে জননিরাপত্তা বিভাগ। আসন্ন বাজেটে এ বিভাগের সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৬৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ ২১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। শীর্ষ বরাদ্দের ৯ম অবস্থানে আছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ে নতুন বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১৭ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দ রয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। এদিকে বরাদ্দের শীর্ষে দশম অবস্থানে রয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আগামী অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত এডিপির অর্থ দিয়ে ১ হাজার ৫৮৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, নতুন বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই রাখা হচ্ছে ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ হাজার ১০৩ কোটি ১০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় । এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ। করোনার সময়ে বাজেট ঘোষণাকালে জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাতে সব চেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা না থাকায় তা দেয়া হয়নি। তবে চলতি বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৭৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বাড়িয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এদিক দিয়ে শীর্ষ বরাদ্দের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। জানা গেছে, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৪৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৬০ কোটি ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৬ হাজার ১০৩ কোটি ১০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাড়িয়ে আগামী বাজেটে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৪ হাজার ৮১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে চলতি বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৩ হাজার ১১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। শীর্ষ বরাদ্দের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ বিভাগের সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ২৯ হাজার ৪৪২ কোটি ১২ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ২৯ হাজার ২৭৩ কোটি টাক। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুকূলে নিয়মিত বরাদ্দ রাখার পরও করোনাভাইরাসে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বাজেটে। যা করোনাভাইরাসের যেকোন জরুরী পরিস্থিতি খরচ করা যাবে। এদিকে শীর্ষ বরাদ্দের ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এডিপির জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বহিঃসম্পদ থেকে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকার যোগান দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার। করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে জাতীয় অর্থনীতি সচল করার জন্য কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি মনোনিবেশ করে সরকারের আগামী বাজেটে কৌশলগত ‘পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ নেয়া হচ্ছে। অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী’ করার জন্য স্বাস্থ্য, কৃষি ও মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে যাতে ভবিষ্যতে যে কোন বিপর্যয় কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা যায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট এই স্থবিরতা থেকে আবার অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য আগামী বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্বাস্থ্য, কৃষি ও মেগা প্রকল্পগুলো এই পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার পাবে বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার, নার্স, আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর সংখ্যা কম রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়তে হবে।

করোনা মোকাবেলায় তহবিল ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নতুন বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি জরুরী তহবিল গঠন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার হয় এমন সব পণ্য আমদানিতে শতভাগ শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পাবেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনে থাকছে সব ধরনের ট্যাক্স ও ভ্যাট সুবিধা। কিছু শর্ত সাপেক্ষে হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ওষুধ ও সেবা সামগ্রী সম্পূর্ণ ফ্রি দেয়া হবে। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ ও করোনা রোগের চিকিৎসা সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে আগামী বাজেটে এসব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে সরকার। 

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী অর্থবছরের জন্য গতানুগতিক বাজেট করলে প্রয়োজন মেটানো যাবে না। আগামী বাজেটে দুটো বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কোথায় অর্থ খরচ হবে, আর সেই টাকা কোথা থেকে আসবে। খরচ ও জোগানের অগ্রাধিকার ঠিক করাই আগামী বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। করোনার পরিস্থিতিতে বাজেটে অগ্রাধিকার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে এবং সেখানে বর্তমান প্রয়োজন ও অদূর ভবিষ্যতে কী প্রয়োজন হতে পারে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে। 

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া উচিত স্বাস্থ্য খাতে। এছাড়া শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্যনিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এসবেও প্রাধান্য দিতে হবে। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও নতুন নতুন হাসপাতাল করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিকে কোভিড-১৯ এর যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নিয়মিত বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি জরুরী পরিস্থিতি ব্যবহারের জন্য এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণ অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ থাকবে। যদি আগামীতে করোনার প্রভাব আরও বেড়ে যাওয়ার ফলে নতুন কোন হাসপাতাল করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এই ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে গরিব মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য এ বরাদ্দের টাকা খরচ করা হবে। 

এছাড়াও করোনা নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নির্ধারিত বরাদ্দের পরেও যদি প্রয়োজন হয় তাহলে জরুরী প্রয়োজনে সিসিইউ, আইসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু, সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্ট কেয়ার), করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিট (সরঞ্জাম) এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে এ টাকা ব্যবহার করা হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এদিকে আগামী বাজেটে শীর্ষ বরাদ্দের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে স্থাস্থ্যসেবা বিভাগ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, এখন এ পরিস্থিতিতে থোক বরাদ্দ রাখতেই হবে। এটা পর্যাপ্ত কিনা সেটা এখনও বলা সম্ভব নয়। কারণ করোনা কতদিন থাকে সেটাই আমরা জানি না। তিনি আরও বলেন, এ রকম বরাদ্দ রাখাটা ভাল। কারণ এ রকম একটা ফান্ড থাকলে জরুরী প্রয়োজনে টাকার জন্য ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন হবে না। তবে এ তহবিলের টাকাটা কি কি ভাবে খরচ হবে সে বিষয়ে একটি সঠিক পরিকল্পনা করা দরকার।

Place your advertisement here
Place your advertisement here