• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

করোনা: কুড়িগ্রামে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি নির্দেশনায় কুড়িগ্রামে শহর ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

শুধু কাঁচাবাজার, ফার্মেসি ও নিত্যপণ্যের মুদি দোকান সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাটবাজার।কাঁচাবাজারগুলোতে আসা পণ্যবাহী গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। শহর ও গ্রামের রাস্তায় দুই-একটি রিকশা, অটোরিকশা দেখা গেলেও যাত্রী পাচ্ছেন না চালকরা। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সব ধরনের শ্রমজীবী মানুষরা।

জেলা ও উপজেলায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। আর এ নির্দেশনা কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।কুড়িগ্রাম শহরের রিকশাচালক আলম মিয়া জানান, একদিন রিকশা নিয়ে বের না হলে এক মুঠো খাবার জোটে না। তাই রিকশা নিয়ে সকাল থেকে শহরে ঘুরছি। রাস্তায় লোকজন নাই তাই ভাড়াও নাই। আয়-রোজগার করতে না পারলে খাবার জুটবে না।

চিলমারী উপজেলার শহরের অটোরিকশা চালক আব্দুল কালাম(৪৫) বলেন, আমরা গরিব মানুষ, প্রতিদিন অটো চালিয়ে চাল-ডাল কিনে খাই। গাড়ি চালানো নিষেধ থাকলেও উপায় নাই। অটো নিয়ে এসেছি কিন্তু কোন প্যাসেঞ্জার নাই। সব ফাঁকা। এমন চলতে থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।করোনা সতর্কতায় যানবাহনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া রিকশাচালক, ভ্যানচালকরা ।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ৯ উপজেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে চাল, ডাল,তেল আলু, লবণ ও সাবান বিতরণ করা হচ্ছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here