• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার শক্তি কোনো দলের নেই: তথ্যমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ রংপুর বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমরা যদি শক্তিশালী হতে পারি, একইসঙ্গে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নাই। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সুতরাং আমাদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি যে কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, তা হলো, সংকট মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য ধৈর্য্য, মেধা এবং দৃঢ়তা। আমরা জনগণের সমর্থন ব্যতিরেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকতে চাই না; কিন্তু জনগণ যদি সমর্থন দেন, অবশ্যই আমরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসবো।

‘মানুষ উন্নয়নের কারণে ভোট দেয়, কিন্তু তার সাথে যদি কর্মীদের ঔদ্ধত্য থাকে তাহলে কিন্তু মানুষ বিরক্ত হয়’ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে ড. হাছান বলেন, ‘গত ১১ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সমস্ত বিশ্ব যার প্রশংসা করছে, পাকিস্তান আক্ষেপ করছে, ভারতবর্ষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করছে। এই উন্নয়নের বার্তাগুলো যদি জনগণের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারি এবং একই সাথে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যদি বিনয়ী হয়, যারা উদ্ধত আচরণ করে তাদের যদি আমরা নিবৃত্ত করতে পারি, তাহলে জনগণ অব্যাহতভাবে আমাদেরকেই ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন।

‘সরকার হচ্ছে দলের, সরকারের দল নয়; আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল, সেকারণে, দলকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন। সাংগঠনিক শক্তির কোনো বিকল্প নাই। তবে, পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের কারো কারো মধ্যে আলস্য এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু সুবিধাবাদীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন হয়েছে। সেখানে একটি বার্তা দেয়া হয়েছিল সংগঠনকে সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সেটি করা সম্ভব হয়েছে, পুরোপুরি হয়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একই দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। এরপর সেই দলেরই একটি ভগ্নাশের নেতৃত্ব দিয়ে মাহাথির মোহাম্মদ আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তিনি ইতিপূর্বে ২২ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার পর থেকে চার দশক যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, এখন তার সন্তান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট তিনদশক ক্ষমতায় ছিল। এগুলোর মূল কারণ সাংগঠনিক শক্তি।’
নেতাকর্মীদের নৈতিকতা ও সম্মেলনের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একইসাথে আমি মনেকরি সংগঠনের মধ্যে যে নৈতিকভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। অবক্ষয় থেকে আমাদের রাজনীতিকে মুক্ত রাখতে হবে। এজন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের আদর্শিক ও নৈতিক মনোবল বৃদ্ধি এবং রাজনীতি যে একটি ব্রত, সেটি তাদের মধ্যে প্রোথিত করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। কিছু সম্মেলন এখনো হয়নি, দলের নির্দেশনা আছে ৬ মার্চের মধ্যে সম্মেলনগুলো শেষ করতে হবে। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে তার আগেই যারা সম্মেলন করবেন তাদের সম্মেলন সফল করতে হবে। নেহায়েত প্রয়োজন না হলে উপজেলা সম্মেলন বাদ দিয়ে জেলা সম্মেলন করা সমীচীন হবে না।’

রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সফুরা বেগম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here