• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

এবার সরাসরি বাসেই চলে যেতে পারবেন শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে সরাসরি বাস চালু হল এবার। ভারত–নেপালের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বাস পরিষেবা। বিবিআইএন চুক্তি মতো কাঠমাণ্ডু থেকেই এই বাস পরিষেবার সূচনা করা হয়। সোমবার বিকালে কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সেখানে নেপালের পরিবহণমন্ত্রী রঘুবর মহাশেঠ পতাকা নেড়ে, এই যাত্রা সূচনা করেন। সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত মঞ্জিব সিং পুরী। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানান, ‌এবার পূর্ব নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি–দার্জিলিঙের মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ অনেক সহজ হল।‌ নেপালের পরিবহণমন্ত্রী জানান, ‌এই পরিষেবার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে।‌

আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সরাসরি গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ১৪ মে বিবিআইএন এক প্রস্তাব নেয়। ২০১৫ সালের ৮ জুন, বাংলাদেশ সরকার বিবিআইএন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া তৈরি করে এবং ওই বছরের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চুক্তি দ্বারা চারটি দেশের যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহন নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতে পারবে এবং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু নানা কারণে উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হয়নি। তবে কয়েকবার এ বিষয়ে চেষ্টা করা হয়। কিছুক্ষেত্রে এখন বাস চলাচল করছে।

এই চুক্তিতেই সরকারি উদ্যোগে কাকড়ভিটা–পানিট্যাঙ্কি হয়ে শিলিগুড়ি এবং কাঠমাণ্ডুর মধ্যে বাস চলাচল শুরু হল। ভারত এবং নেপালের মধ্যে এটি দশম বাস পরিষেবা। ঠিক হয়েছে আপাতত এই রুটে ভারতই বাস চালাবে। পরে নেপালের বাসও দেওয়া হবে। আরামদায়ক ৪৪ সিটের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই বাস। এই বাসে মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই। শিলিগুড়ি থেকে কাঠমাণ্ডুর দূরত্ব ৬৫০ কিলোমিটার। পাহাড়ি পথ মিলে যাত্রাপথে সময় লাগবে ১৮ ঘন্টা।

বাসযাত্রা সূচনা অনুষ্ঠানে নেপালের পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘রামায়ণ, মহাভারতের যুগ থেকেই ভারত এবং নেপালের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ। এই বাস পরিষেবার মধ্যে দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। এই পরিষেবার সুফল শুধুমাত্র পর্যটকরাই নন, ব্যবসায়ীরাও পাবেন। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে নেপালের ব্যবসা বাণিজ্য আরও সুবিধাজনক করে তুলবে।’‌ একসময় শিলিগুড়ির বাগডোগরা থেকে কাঠমাণ্ডু বিমান চলাচল করত। তা বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। এই বাস পরিষেবায় তার ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

Place your advertisement here
Place your advertisement here