• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

এবার অ্যাপের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

আমনের পর এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে ২২টি উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। এ ২২টি উপজেলার মধ্যে আগের ১৬টি রয়েছে।

এসব উপজেলাগুলো হলো- সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাপে ধান সংগ্রহের উপজেলাগুলো অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে চলতি বোরো মৌসুমে ২২টি উপজেলায় ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত আমন মৌসুমে ১৬টি জেলার ১৬টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। পরে এক বৈঠকে জানানো হয়, এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪ জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬ উপজেলায় মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে। তবে বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে আসা হয়।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে।

স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় যদি যৌক্তিক প্রতীয়মান না হয় বা করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা যদি এতে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ কমিটি অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ নীতিমালা অনুসরণ করে প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কৃষক তথ্য দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করবে। রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন হলে তিনি ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ডেটাবেজে জমা হবে। পরে উপজেলার ইউএনও’র নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করবে। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হবেন, তাদের অনলাইনে বরাদ্দ দেয়া হবে। কৃষক এসব বিষয়ে মোবাইলে এসএমএস পাবেন।

এছাড়া একটা অপেক্ষমাণ তালিকাও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক যদি ধান দিতে না পার তবে এ তালিকা অনুসরণ করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here