উন্নয়ন প্রধান্য পাচ্ছে ডিউক চৌধুরীর প্রচারণায়

রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা দিনরাত ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রত্যেক প্রার্থীই ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যবহার করছেন নিজস্ব কৌশল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক’র নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান্য পাচ্ছে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত পাঁচ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো- এলাকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থা, শত কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ, চিকলি নদীর উপর চম্পাতলী, মোস্তফাপুর ও ধোপানীর ঘাটে ব্রিজ নির্মাণ, ৫৪টি বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, সংস্কার ও সম্প্রসারণ, তারাগঞ্জ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন, ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্থাপন, মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, দু’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩৩শয্যা থেকে ৫০শয্যায় উন্নীতকরণ, অ্যাম্বুলেন্স প্রদাণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদান, বøাড ব্যাংক স্থাপন, দু’ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, দু’ থানায় পিকআপ ভ্যান প্রদান ইত্যাদি। এসব উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বিরামহীণ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা। তাই তারা জনগণের কাছে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছেন। কিন্তু জনগণের কাছে উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠাকরণই একমাত্র দাবী।

টিভি নাট্যকার ও সাংবাদিক আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সুন্দর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। এলাকায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সুন্দর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সাথে পাঠদান প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করতে হবে।

নারী নেত্রী ও সাংবাদিক আফরোজা বেগম বলেন, এলাকার নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম হলো- বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও স্বামীর মাদকাশক্তি। এসবের বিরুদ্ধে কাজ না করলে সমাজ কখনোই সুন্দর হবেনা।

বদরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরওয়ার জাহান মানিক বলেন, শহরের যানজট একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন বাইপাস সড়ক নির্মাণ। এছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনায়ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে- যাতে করে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন। মাদকের ব্যাপক বিস্তার হওয়ায় এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই মাদকের বিস্তার রোধে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেছের উদ্দিন বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়া স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমডি শামসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নকারী রাজনৈতিক দল। একারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে উন্নত শিক্ষা প্রদাণের লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারণ উন্নত শিক্ষা ছাড়া মৌলবাদী শক্তিকে উৎখাত করা সম্ভব নয়।

রংপুর-২(বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, শহরের যানজট নিরসনে অনেক আগেই বাইপাস সড়কের জন্য সংসদে দাবি জানানোর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছি। হয়তো আগামী সংসদেই বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হবে। এলাকাকে মাদক ও বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছেন। এছাড়া স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবির যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি সমাপ্ত হলে এই এলাকা হবে সুন্দর ও সমৃদ্ধ এলাকা যা জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।