• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ইভারমেকটিন ওষুধে ‘বিস্ময়কর’ ফলাফল: এফডিএ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে অনুমোদিত ইভারমেকটিন ওষুধ করোনা চিকিৎসায় বিস্ময়করভাবে কাজ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে একাধিক পরীক্ষায় ইভারমেকটিন ওষুধ প্রয়োগে কার্যকর ফলাফল উঠে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, ইভারমেকটিন সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে ধ্বংস করতে কার্যকরী।

গত ১৬ মে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম ইভারমেকটিন ওষুধের কার্যকারিতা তুলে ধরেন। অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিন ও অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন ওষুধের মিশ্রণে মাত্র তিন দিনেই করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. তারেক আলম বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা গবেষণা করছি। ৬০ জন রোগীর ওপর আমরা এ ওষুধ প্রয়োগ করেছি। প্রয়োগের মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর চার দিনে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রোগীকে অন্যান্য সাধারণ ওষুধের সঙ্গে ইভারমেকটিন দেওয়া হয়। এতে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া গেছে। ওষুধটি এখনো করোনা রোগীদের জন্য অনুমোদিত হয়নি।

২২ মে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার জরুরি চিকিৎসক ড. পিটার এইচ হিবার্ড বলেন, আমি আশাবাদী ইভারমেকটিন ওষুধটি করোনা চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে করোনা চিকিৎসায় এ ওষুধ এফডিএ কর্তৃক অনুমোদন দেওয়ার আগে আরও কিছুসংখ্যক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন আছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ট্রায়ালে যেটি আমাদের আশা যুগিয়েছে সেটি হলো— এ ওষুধ গুরুতর অসুস্থ রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।

আরও স্বস্তির খবর হলো— করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগী যাকে অক্সিজেন দেওয়ার মাত্রা ছিল ৭০ শতাংশ, এ ওষুধ প্রয়োগে তা কমে ৫০ শতাংশে নেমে আসে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। আর এক সপ্তাহের মাথায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

তবে ইভারমেকটিন ওষুধের সঙ্গে অন্য ওষুধের মিশ্রণ নিয়ে এফডিএ সতর্ক করেছে। কিছুক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা, রক্তচাপে হঠাৎ হ্রাস, লিভারের সমস্যা ও অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here