• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

আজ লালমনিরহাট হানাদার মুক্ত দিবস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

আজ ৬ ডিসেম্বর। লালমনিরহাট হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লালমনিরহাট পাক হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিগামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে জেলাটিতে পতন হয় পাক হানাদার বাহিনীর।

এক পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজয়ের আগ মূহূর্তে মুক্তিযোদ্ধারা লালমনিরহাট ঘিরে ফেললে অবস্থা বেগতিক দেখে ভোরেই জেলার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পালায় পাক সেনা, রাজাকার, আলবদর ও তাদের দোসররা। তারা দুটি স্পেশাল ট্রেনে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে যায়। তিস্তা নদী পার হওয়ার পরে পাক সেনারা তিস্তা রেল সেতুতে বোমা বর্ষণ করে সেতুর মারাত্মক ক্ষতি করে।

সেই দিন জেলার সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। লালমনিরহাট শত্রুমুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে শহরে লোকজন ছুটে আসতে থাকে। সন্ধ্যার মধ্যে শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় এলাকায় লোকে পূর্ণ হয়ে যায়। স্লোগানে মুখরিত হয় শহর ও আশপাশের গ্রাম। আনন্দে উল্লসিত কন্ঠে স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে তরুণ, যুবক, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই। ওই দিন সকাল থেকে উত্তেজনা নিয়ে লালমনিরহাট শহর, লোকালয়ের মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন সড়কে বেড়িয়ে পড়ে আনন্দ মিছিল।

পরদিন ৭ ডিসেম্বর বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে বিজয়ের পতাকা নিয়ে শহরে ঢুকে পড়ে মুক্তিকামীরা। যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের কালো রাতে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে গড়ে তুলেছিল প্রতিরোধ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬নং সেক্টরটি অবস্থিত ছিল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে। সেক্টরটির কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর এম খাদেমুল বাশার।

লালমনিরহাটের একমাত্র বীরপ্রতীক ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর অতিবাহিত হলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছে। এ জন্য মহান মুক্ত দিবসের এ দিনে সহায়-সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাই।

অবিস্বরণীয় এ দিনটি যথাযথভাবে উদযাপনের জন্য লালমনিরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, সাংবাদিকবৃন্দ ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

লালমনিরহাটের ডিসি মো. আবু জাফর ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট মুক্ত দিবসের কর্মসূচী সম্পর্কে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হবে। এজন্য তিনি লালমনিরহাটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ আপামর জনতার সহযোগিতা কামনা করি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here