• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

আজ কবি সুফিয়া কামালের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

 বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা কবি বেগম সুফিয়া কামালের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের আজকের এ দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, বুদ্ধিজীবী, সমাজনেত্রী, বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব বেগম সুফিয়া কামাল।

তার জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে। সেসময় বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা করেন।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না করতে পারলেও নিজ চেষ্টায় হয়ে ওঠেন স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা  পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দেশবিভাগের আগে কিছুদিন ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৫৬ সালে শিশুদের সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন। সে বছর তিনি ছায়ানটের সভাপতি নির্বাচিত হন।

সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭০ সালে মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চের অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। সুফিয়া কামাল আত্মশক্তির বলে সামনে এগিয়ে গেছেন। ব্যক্তি জীবনে নানা সংকটের মুখে পড়েছেন সে সংকট উত্তরিত হয়ে সামনে এগিয়ে গেছেন।

মুক্তবুদ্ধির চর্চার পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন সুফিয়া কামাল। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও বেশি। সুফিয়া কামাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, উইমেনস ফেডারেশন ফর ওয়ার্ল্ড পিস ক্রেস্ট, বেগম রোকেয়া পদক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি ৫০টিরও বেশি পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা-চেতনার মধ্য দিয়ে তিনি রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। মৃত্যুর পর তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। এছাড়াও কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান সুফিয়া কামালকে ‘আকৈশোরচিত্রা সংঘমিত্রা’ উপাধি দিয়েছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here