• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

‘আ. লীগের প্রতিপক্ষ হওয়ার সামর্থ্য ঐক্য প্রক্রিয়ার নেই’

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিপক্ষ হওয়ার মতো শক্তি অর্জন করার সময় ও সামর্থ্য কোনোটিই নেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি জোট হতেই পারে। একটা যথার্থ জোট হলে যথার্থ বিরোধী মহল গড়ে উঠবে। তাতে গণতন্ত্র অনেকটা এগিয়ে যায়। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো বিরোধী দল নেই। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে এরকম একটা জোট গঠনের যৌক্তিকতা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই জোটের অন্তর্নিহিত কোনো শক্তি আমি দেখতে পাচ্ছি না। যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তারা তাদের মূল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে এসেছেন, সেটা যেকোনো কারণেই হোক। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে এমন একটি জোট হতেই পারে। সেটা হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। আপত্তিকর কিছু জায়গাও রয়েছে। সে জায়গাগুলোর বিষয়ে মানুষকে পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়েনি বিএনপি। কৌশলগতভাবে জামায়াতকে আড়ালে রাখা হয়েছে। জামায়াত নির্ভর বিএনপির সঙ্গে যখন ড. কামাল হোসেনের মতো মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিত্ব হাত মেলান তখন নানাবিধ প্রশ্ন ওঠে। অন্য যারা রয়েছেন তারাও মান্য ব্যক্তি যেমন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক নীতি কি সঠিক জায়গায় আছে? জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারবে না বা নির্বাচনকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারবে বলেই মনে হয় আমার।

তিনি আরও বলেন, এই জোটকে কীভাবে স্বাগতম জানাবো? সেই জায়গাটা কি রেখেছেন তারা? রাখেননি। জামায়াত ইসলামী যে জোটে সেখানে আমাদের বলার কিছু থাকে না। তবে যদি একটা ভালো জোট গড়ে উঠতো, যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের তাহলে ভালো হতো। অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় থাকতো তাহলে স্বাগত জানানো যেত। কিন্তু বর্তমান ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষের হাজারো প্রশ্ন রয়েছে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে জোটের নেতাদের।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ডা. বি. চৌধুরীকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় রাখা হয়নি বা তিনি থাকলেন না দুটোই হতে পারে। কারণ কোন প্রেক্ষাপটে বি. চৌধুরী ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়লেন তা নিয়ে নানা মুনীর নানা মত রয়েছে। তবে বি. চৌধুরী সঙ্গত কারণেই বিএনপির সঙ্গে যেতে পারেন না। কারণ তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি অনেক কিছুই ছিলেন। বিএনপির হয়ে ‘সাবাস বাংলাদেশের’ মতো ন্যক্কারজনক একটা তথ্য চিত্রও তৈরি করেছিলেন বিটিভিতে। আবার রাষ্ট্রপতির পদ থেকেও তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। সে কারণেই তিনি বিএনপির সঙ্গে যেতে পারেন না।

তিনি বলেন, বি. চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে তিনি থাকবেন না, যদিও একসময় ছিলেন। তবে তার এই বিলম্বিত বোধদয়ের জন্য তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু এককভাবে তিনি কোনো রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রমাণ দিতে পারবেন না বা প্রদর্শনও করতে পারবেন না। যদিও শোনা যায় তিনি নাকি ঐক্য প্রক্রিয়ার কাছে ১৫০টি আসন দাবি করেছিলেন। কিন্তু আসলে কি হয়েছে সেই তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে নেই। তবে এটা এখন বলা যায়, ঐক্য প্রক্রিয়ার শুরুতে একটা হোচট খেয়েছে বি. চৌধুরী ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে না থাকায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here