• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

অস্থায়ী শহীদ মিনারেই একযুগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হলেও ক্যাম্পাসে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কের কোল ঘেঁষে আট বছর আগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থাপনায় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের আড্ডার আসরে প্রতিনিয়তই ঘটছে দায়িত্বহীন কাণ্ড। অথচ এখন প্রত্যেকটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। কিন্তু মাতৃভাষা বাংলার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের স্মরণে বেরোবিতে নেই স্থায়ী শহীদ মিনার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কের কোল ঘেঁষে আট বছর আগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারটি পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থাপনায় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের আড্ডার আসরে প্রতিনিয়তই ঘটছে দায়িত্বহীন কাণ্ড।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে কিংবা সিঁড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো নেমপ্লেট দেওয়া নেই যে- ‘জুতাসহ বেদিতে উঠা যাবে না’। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে আসার পর কাপড় দিয়ে নির্মাণ করা হয় একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটি কিছুদিন পরই কে বা কারা যেন আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ২০১২ সালে ইট-পাথর-বালি দিয়ে নির্মাণ করা হয় বর্তমান অস্থায়ী শহীদ মিনারটি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১২ বছরেও স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতার বড় অভাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যাতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার কিংবা অন্যান্য স্থাপনাগুলো আমাদের অতীত ইতিহাসকে জানতে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্থায়ী শহীদ মিনার অত্যন্ত জরুরি। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাবো।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. আর.এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি শহীদ মিনার থাকা অত্যন্ত জরুরি। খুব শিগগিরই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here