• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন।

একটি অসাম্প্রদায়িক ও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার রাষ্ট্র দর্শন ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা, সম্পদের সুষম বন্টনে সমাজতন্ত্র। অর্থাৎ তিনি সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। যেখানে নিশ্চিত হবে মানুষের মৌলিক অধিকার। জাতির পিতা তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা সন্নিবেশিত করেছিলেন সংবিধানে।
 
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী, ভাবতেন মানুষের কথা, গ্রাম বাংলার কথা। যে স্বপ্ন থেকে পাকিস্তান আন্দোলন, সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই। 

শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে এই রাষ্ট্র কি চেয়েছিলাম? সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগে মনে।  

রক্তে কেনা বাংলাদেশ কেমন হবে, তা-তো ভেবেই রেখেছিলেন জাতির পিতা।
  
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়,  রাজনৈতিক স্বাধীনতার সম্পূরক আসতে হবে অর্থনীতিতে, সমগ্রিক মুক্তির কথা তিনি বলেছিলেন, তিনি একটি মানুষের রাষ্ট্র তৈরি করতে চেয়েছেন। তাঁর রাষ্ট্র ভাবনা, উন্নয়ন দর্শন সন্নিবেশিত করেছিলেন সংবিধানে।
 
ইতিহাসবিদ সৈয়দ মুনতাসির মামুন বলেন, রাষ্ট্রের মূল দর্শনটাই ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে মানুষের অধিকার এবং সম্পদের সুষম বন্টন থাকবে, যেই কারণে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতন্ত্র এই দুটি বিষয় সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন।

পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর রক্তাক্ত সংবিধান, রক্তাক্ত হলো বাংলাদেশ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here