অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০
Find us in facebook
জুনাইদ আহ্মেদ পলক
বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশ। অনেক আগেই ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই সাফল্যকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা নানাভাবে ব্যাখ্যা করছেন। বিশ্বব্যাকের `South Asia Economic Focus, Making (De) Centralisation Work’ এর সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশ। এর আগে ২০১৮ সালে এইচএসবিসি গ্লোবাল সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়, ২০৩০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২৬তম। বর্তমান অবস্থান ৪২তম।
ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ড (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনেও দেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি ও সাফল্যের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ম্যাজিক বা রহস্য কী? এর উত্তর খুঁজলে বর্তমান সরকারের নানা ইতিবাচক উদ্যোগের কথা সামনে চলে আসবে। এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তৃত আলোচনা হওয়া দরকার সেটি হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি কৌশল। এ নীতি শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নয়, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করায় বড় অবদান রাখছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি কৌশল প্রয়োগের কারণে ২০১১ সালে প্রবল বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার (২০০৮ সাল থেকে যার শুরু) মধ্যেও দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধারা অব্যাহত থাকে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানের তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্প্রতি প্রকাশিত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই)। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪ তম। বাংলাদেশের পরে রয়েছে ভারত (৬২), পাকিস্তান (৫২), (শ্রীলঙ্কা (৪০)।
একথা আজ অনস্বীকার্য যে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর্থিক প্রযুক্তির বর্ধিত ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অন্তর্ক্তুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে শক্ত অবস্থান তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির কারণে অর্থব্যবস্থায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটছে যা মূলত টেকসই উন্নয়নের অনুঘটক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রমের দিকে চোখ ফেরালে সরকারের ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এর মূল উপজীব্য ডিজিটাল বাংলাদশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এর দ্বিতীয় স্তম্ভে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়। এতে বলা হয় ‘সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং অর্থপূর্ণভাবে নাগরিকদের সংযুক্ত করার কথা। অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা সহজলভ্য করে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও দারিদ্র্যবিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমেই এটা সম্ভব। এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় নীতিমালা ও অবকাঠামো তৈরির। সেজন্য ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রথমে নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বাস্তবায়ন শুরু হয় গ্রাম থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর গভীর উপলব্ধি থেকেই বটম আপ অ্যাপ্রোচ পদ্ধতি অনুসরন করে তৃণমূল থেকে ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং এবং সাহসী উদ্যোগ গ্রহণের মূলে কাজ করেছে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়ে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো। যে কোন সমাজ বা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ করে দেওয়া হলে তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন হিসেবেই বিবেচিত হয়। আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের বাস গ্রামে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপন করা হয়। সিটি কর্পোরেশন, পেীরসভা ও ওয়ার্ড মিলে বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ৫৮৬৫টি। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়া হয় ইউনিয়নগুলোতে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, দ্বীপ এমনকি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মহেশখালী দ্বীপের মানুষ ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সেবা পাচ্ছে। হাওড় এলাকার মানুষকে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দুর্গম এলাকার ৭৭২টি ইউনিয়নে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কানেক্টিং বাংলাদেশ প্রকল্পের। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণার আগে গ্রামে বসে ডিজিটাল সেবা পাওয়ার কথা কেউ কল্পনাও করেনি। অথচ আজ শুধুমাত্র ডিজিটাল সেন্টার থেকেই ১৫০ ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রদান করা হচ্ছে। বিগত এক দশকে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লক্ষ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজের আওতায়। মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৬ কোটি ৪১ লক্ষ ৭০ হাজারে উন্নীত হয় (অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত}। একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৫ হাজার।
আমানত ও ঋণের মতো মৌলিক আর্থিক আর্থিক সেবাপ্রাপ্তি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিতার অন্যতম নির্ণায়ক। আর্থিক ব্যবস্থায় সব শ্রেণীর মানুষের অন্তর্ভুক্তি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক সেবার বাইরে থাকা প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষকে আর্থিক সেবাভুক্তি (Financial Inclusion) কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য ২০১১ সালে উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে গ্রাম, দূর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায়। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছে। মেবাইল ব্যাংকিং এখন অলটেরনেটিভ পেমেন্ট চ্যানেল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন দেয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৫৫ লাখ।
বাংলাদেশের মূলধারার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সহজ ও টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৫২ লাখ এবং গ্রাহকরা ৭ কোটি টাকা টাকা জমা রাখে। দেশের ৩৮০০ ডিজিটাল সেন্টারে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু আছে। বিভিন্ন ব্যাংক সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে (ইএফটি) ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আর্থিক সেবাভুক্তি কার্যক্রমে মোবাইল এবং এজেন্ট ব্যাংকিং যুগান্তকারী ঘটনা এবং এর সুফলভোগীদের বেশিরভাগেরই বাস গ্রামে।
ই-গভর্মেন্ট প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণ এবং সরকারের মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি তথ্য ও সেবা ইন্টারঅপারেবল (আন্ত:পরিবাহী) করার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্মার্ট কার্ড, ইউনিক আইডি’র বায়োমেট্রিক ডাটা বেইজ সেবা প্রদানকে সহজ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডিজিটাল আইডি প্রদান করেছে। মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতীয় তথ্যবাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এ তথ্যবাতায়নে ৪৫ হাজার ওয়েবসাইট ও সরকারি বিভিন্ন সেবা রয়েছে। ৬শ’রও বেশি সরকারি সেবা ডিজিটাইজড করে তাতে নাগরিকেদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগের বাস্তবায়নের ফলে জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের বড় উত্তরণ ঘটে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের ই-গভর্মেন্ট কার্যক্রম নিয়ে দুই বছরের অগ্রগতি বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে ৯ ধাপ আর ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের ৩৩ ধাপ উন্নতি হয়।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম আরো ব্যাপকভিত্তিক করার পরিকল্পনার কথা মানুষ জানতে পারে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে। এ বছরের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় ‘আমার গ্রাম- আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ’ অংশে গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে। সুপরিকল্পিতভাবে ‘আমার গ্রাম- আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে সব মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে নাগরিক অধিকার ও নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ায় অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি।
রূপকল্প ২০২১ এর অবিচ্ছেদ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। এর বাস্তবায়ন দেশের মানুষের সামনে সম্ভাবনার তোরণ দূয়ার খুলে দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২০১৫ সালেই বিশ্বব্যাংকের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে একটি জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, পরামর্শ ও তদারকিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং রূপকল্প ২০৪১-এ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথকে মসৃণ করবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি উন্নয়নকে করবে টেকসই।
লেখক : প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
সূত্র: কালেরকণ্ঠ।
- লালমনিরহাটে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
- ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
- দিনাজপুর জেলা কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল নারীর নিথর দেহ
- দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মী কারাগারে
- স্বামীর বাড়িতে ফেরা হলো না গোলবানুর
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- খানসামার সেই চাষিদের কাছ থেকে শসা কিনল স্বপ্ন
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার