• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

পাঁচটি বস্তুকে পাঁচটি বস্তুর পূর্বে মূল্যায়ন করা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হলো যৌবনকাল। যে ব্যক্তি এ সময়টাকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তার জীবন হয় আনন্দঘন ও বরকতময়।  

যৌবনকে কোনোভাবে হেলায় হারানো যাবে না। চরিত্রকেও ধ্বংস করা যাবে না। বার্ধক্য আসার আগে এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। একজন অসুস্থ মানুষই বুঝতে পারে সুস্থতা আল্লাহর কত বড় নেয়ামত!

পবিত্র কুরআনে যেহেতু আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘অবশ্যই সফল হয়েছে মুমিনগণ... আর যারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ (সূরা মুমিনুন, আয়াত-৫)।

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (তথা জিহ্বা) ও দুই ঊরুর মধ্যবর্তী স্থান (তথা লজ্জাস্থানের) জামানত আমাকে দেবে, আমি মুহাম্মাদ (সা.) তার জান্নাতের জিম্মাদার।’ (বুখারি, হাদিস-৬৪৭৪)।

রাসূল (সা.) বলেছেন,, ‘কেয়ামতের দিন পাঁচটি সওয়ালের জবাব দেওয়া ব্যতীত, কোনো আদম সন্তান আল্লাহর সম্মুখ হতে এক কদমও নড়তে পারবে না। সে তার জীবনকে কোথায় ব্যয় করেছে। যৌবনকে কোথায় ক্ষয় করেছে, সম্পদ কোথায় থেকে অর্জন করেছে আর কীভাবে ব্যয় করছে। যা জেনেছে, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করছে।’ (তিরমিযি, হাদিস-২৪১৬)।

বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনের মূল্যায়ন: বালেগ হওয়ার পর থেকে চল্লিশ বছর পর্যন্ত যৌবনকাল। যৌবনের ইবাদতের মধ্যে ভিন্নরকম স্বাদ আছে। এই সময়ে শরীরে আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্য করার সামর্থ্য থাকে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের শক্তি থাকে। গভীর রাতে জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার মতো তাওফিক থাকে। শুধুমাত্র সদিচ্ছার প্রয়োজন হয়।

কেয়ামতের দিন যখন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না, সূর্য একেবারে মাথার ওপর চলে আসবে, এমন কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর আরশের নিচে জায়গা পাবে এমন যুবক, যে তার যৌবনকাল কাটিয়েছে রবের ইবাদতে।

অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতার মূল্যায়ন: মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন মনে অনেক ভালো কাজ করার ইচ্ছা জাগলেও শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। মসজিদে জামাতে শরিক হওয়ার অনেক ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হয় না। সুতরাং সুস্থতার নিয়ামতের মূল্যায়ন করো। ভালো কাজে অগ্রসর হও শরীর দুর্বল হওয়ার আগে। না হয় অসুস্থতা যখন ঘিরে ধরবে তখন ইবাদতের ইচ্ছা থাকলেও অপারগ হয়ে যাবেন।

দারিদ্রের পূর্বে ধনসম্পদকে মূল্যায়ন: যখন আর্থিক সামর্থ্য থাকে তখনই আল্লাহর পথে নিজের সম্পদকে কাজে লাগানো। ইলমের পথে নিজের মাল খরচ করা। সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কিছু করে যাওয়া। না হয় দারিদ্র্য এসে গেলে পূর্বের ধনসম্পদের কোনো মূল্যই থাকবে না।

ব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে মূল্যায়ন: যতদিন দেহে প্রাণ আছে ততোদিন ব্যস্ততা আসবেই। লক্ষ্যে সফল হতে হলে ব্যস্ততার মধ্যেও অবসরকে খুঁজে নিতে হবে। অধিকাংশ মানুষ বেহুদা কাজে নিজের সময় নষ্ট করে। তারা ভাবে এটাই তাদের ব্যস্ততা। কিন্তু আসল ব্যস্ততা হলো- নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করা। অবসর সময়টুকু আখেরাতের ফিকিরে কাজে লাগিয়ে নিজেকে মূল্যায়ন করা।

মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে মূল্যায়ণ: এই পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল থাকলেও যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই। দুনিয়ার সময় খুবই অল্প। এই সময় খুবই দামী এবং মূল্যবান সম্পদ। জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যুও নিশ্চিত। সুতরাং অল্পদিনের এই হায়াতকে কদর করা। পরকালের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। অন্যথায় জীবনের কোনো মূল্য থাকবে না। মরণের আগেই জীবনের স্বার্থকতা অর্জন করতে হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here