• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যায় প্রতিটি মুসলমান আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এজন্য তারা বিভিন্ন দোয়া দরুদ পড়ে থাকেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা হলেন মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়দাতা।

চলছে গ্রীষ্মকাল। এমন আবহাওয়ায় দেশে প্রবল বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়া, ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। ঝড়ো বৃষ্টির সময় অনেকে ভয়ে চিকিৎকার শুরু করেন। তবে সে সময় শান্ত থেকে দোয়া পড়া উচিত। কারণ আল্লাহ ছাড়া মানুষকে বেশি নিরাপত্তা কেউ দিতে পারে না।

রাসুলুল্লাহ ( সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এই দোয়া করবে-

আরবি: اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

প্রিয় নবী ( সা.) তার উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, যেন তার উম্মতকে দুর্যোগ ও বিপর্যয় দিয়ে এক সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া না হয়। এসব বিপদকালীন সময়ে বিশ্বনবী বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করতেন এবং অন্যদেরকেও তা পড়তে নির্দেশ দিতেন। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঝড়ো বাতাস ও বিপদ-আপদে উল্লেখিত দোয়া পড়া এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা।

বৃষ্টি হলে যে দোয়া পড়বেন-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সারির মা ফিহি (বুখারি)

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই, এ মেঘের মধ্যে যে অনিষ্ট রয়েছে তার থেকে।

মেঘের গর্জনের যে দোয়া পড়তে হয়-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং কুরআন মাজিদের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-

উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি।’ (মুয়াত্তা)

প্রতিদিনই মানুষ নানা বিপদ ও সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করেন। হাদিসে আছে এসব বিপদ ও বালা মসিবাত থেকে রক্ষা পেতে সর্বদা আল্লাহর রহমত ও সাহায্য কামনা করা উচিত।

বিপদ ও বালা মসিবাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন এই দোয়া পড়তে হবে-

রাসুলুল্লাহ ( সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সকাল এবং সন্ধ্যায় নিন্মোক্ত দোয়াটি পড়বে; তাকে কোনো বিপদাপদ, বালা-মসিবাত স্পর্শ করবে না-

উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূররু মাআস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামিই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম।’ (তিরমিজি, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)।

Place your advertisement here
Place your advertisement here