• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

তিন কারণে ফরজ গোসল করতেই হবে 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

ফরজ গোসলের নিয়ম কী? ফরজ গোসল কখন করতে হয়? ফরজ গোসলের ফরজ কী কী? এসব অনেকে জানেন না। কেউ যদি সঠিকভাবে ফরজ গোসল করতে না পারেন, তাহলে তিনি অপবিত্র রয়ে যাবেন।

সহজভাবে ফরজ গোসল গোসলের নিয়ম ও অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরি-

যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়

* জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় টের পায় না। তাই কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক, সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হেদায়া ১/৪৫, আন নুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯)

* সহবাস করা। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে। বীর্যপাত না হলেও গোসল করতে হবে। (বুখারি, হা. ২৯১, মুসলিম, হা. ৩৪৩)

* নারীদের ঋতুস্রাব বা নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল ফরজ। (রদ্দুল মুহতার ১/১৬৫)

গোসলের ফরজ

গোসলের ফরজ তিনটি। এ গুলোর কোনো একটি ছুটে গেলে ফরজ গোসল আদায় হবে না।

১. কুলি করা।

২. নাকে পানি দেয়া।

৩. পুরো শরীরে পানি পৌঁছানো।

ফরজ গোসল করার নিয়ম

মনে মনে অপবিত্রতা দূর করার নিয়ত করা। তারপর লজ্জাস্থান বা শরীরে লেগে থাকা নাপাকি ধুয়ে ফেলা। তারপর অজু করা। এরপর পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে প্রথমে শরীরের ডান অংশে এবং পরে বাম অংশে পানি ঢালা। তারপর সারা শরীরে পানি ঢেলে দেওয়া।

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পুণ্যবতী সহধর্মিণী হজরত মায়মুনা (রা.) বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তা দিয়ে তিনি (জানাবাতের ফরজ) গোসল করলেন। প্রথমে পানি ঢালার পাত্র ডান হাতের ওপর কাৎ করে ডান হাত দুই বা তিনবার ধৌত করলেন। তারপর লজ্জাস্থানের ওপর পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ধৌত করলেন। পরে মাটির ওপর হাত ঘষে (দুর্গন্ধমুক্ত হওয়ার জন্য) তা পানি দিয়ে ধৌত করলেন। তারপর কুলি করলেন এবং নাক পরিষ্কার করলেন।  মুখমণ্ডল ও দুই হাত ধৌত করলেন। এরপর মাথা ও সর্বাঙ্গে পানি ঢাললেন। সবশেষে ওই স্থান থেকে অল্প দূরে সরে গিয়ে উভয় পা ধৌত করলেন।’ (আবু দাউদ : ২৪৫)

মনে রাখতে হবে, গোসলের সময় পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং নারীদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here