যাপিত জীবনে মহানবী (সা.)-এর ব্যক্তিত্ববোধ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১
Find us in facebook
মহানবী (সা.)-এর নাতি হাসান ইবনে আলী (রা.) তাঁর মামা হিন্দ ইবনে আবি হালার [খাদিজা (রা.)-এর প্রথম ঘরের ছেলে] কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিম্নোক্ত বর্ণনা দেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা উম্মতকে নিয়ে চিন্তিত থাকতেন এবং তাদের নিয়ে ভাবতেন। তাঁর কোনো অবসর ছিল না। বেশির ভাগ সময় চুপ করে থাকতেন, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না। স্পষ্ট ভাষায় উঁচু আওয়াজে কথা বলতেন। নবীজি (সা.) অল্প শব্দ-বাক্যে বেশি মর্ম বোঝাতেন। তিনি সিদ্ধান্তমূলক কথা বলতেন—তাতে কোনো বাহুল্য থাকত না, তা সংক্ষিপ্ত হতো না। তিনি দুরাচারী ও ব্যক্তিত্বহীন ছিলেন না। আল্লাহর সামান্য নিয়ামতকেও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করতেন। মহানবী (সা.) কোনো কিছুর নিন্দা করতেন না, এমনকি তিনি খাবারেরও ভুল ধরতেন না, আবার তার প্রশংসাও করতেন না। পৃথিবী ও পার্থিব বিষয়াশয় তাঁকে ক্ষুব্ধ করত না। যখন সত্যের ব্যাপারে কোনো সীমা লঙ্ঘন হতো তখন তাঁর সামনে কেউ দাঁড়াতে পারত না, যতক্ষণ না তিনি প্রতিকার করতেন। তবে তিনি কখনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষুব্ধ হতেন না এবং ব্যক্তিগত কারণে প্রতিশোধও নিতেন না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইঙ্গিত করতেন পুরো হাত দিয়ে ইঙ্গিত করতেন। বিস্মিত হলে হাত উল্টাতেন। কথা বলার সময় দুই হাত মেলাতেন। ডান হাতের তালু দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চাপ দিতেন। রাগান্বিত হলে পুরোপুরি বিমুখ হতেন। আনন্দিত হলে দৃষ্টি অবনত করতেন। বেশির ভাগ সময় মুচকি হাসতেন, ফলে তার শুভ্র বরফের মতো সুন্দর দাঁতগুলো প্রকাশ পেত। তিনি ছিলেন আত্মমর্যাদাশীল ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণকারী। তাঁর চেহারা মোবারক পূর্ণিমার চাঁদের মতো জ্বলজ্বল করত। তাঁর পায়ের উপরি ভাগ ছিল মসৃণ। দৃঢ়ভাবে কদম ফেলে চলতেন এবং বিনয়ের সঙ্গে দ্রুত হেঁটে যেতেন। যখন তিনি হাঁটতেন মনে হতো উঁচু-নিচু অসমতল ভূমি থেকে থেকে নেমে আসছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কারো দিকে তাকাতেন পুরোপুরি তাকাতেন। তিনি সাহাবিদের পেছনে পেছনে চলতেন এবং কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে প্রথমে সালাম দিতেন।
নবী করিম (সা.) অশালীন ও নির্লজ্জ ছিলেন না। তিনি রাস্তা-ঘাট ও বাজারে উঁচু আওয়াজে কথা বলতেন না। মন্দের প্রতিকার মন্দ দিয়ে করতেন না; বরং ক্ষমা করতেন, উপেক্ষা করতেন। আল্লাহর জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া ছাড়া তিনি কখনো কাউকে আঘাত করেননি। সেবক ও স্ত্রীদেরও তিনি কখনো প্রহার করেননি। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি তাঁকে তাঁর প্রতি অবিচারকারীদের থেকে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করতে দেখিনি, যতক্ষণ না আল্লাহর সীমা লঙ্ঘিত হতো। আল্লাহর সীমা লঙ্ঘিত হলে তিনি প্রচণ্ড রাগান্বিত হতেন। নবীজি (সা.)-কে যখন দুটি কাজের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার ইচ্ছাধিকার দেওয়া হতো, তিনি সহজটি বেছে নিতেন। ঘরে তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন—কাপড় সেলাই করতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজে করতেন।
তিনি অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলতেন না। মানুষকে আপন করে নিতেন, দূরে ঠেলে দিতেন না। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিতেন এবং তাকে তাদের অভিভাবক নিযুক্ত করতেন। তিনি মানুষকে সতর্ক করতেন এবং তাদের থেকে নিজেও সতর্ক থাকতেন। তবে তিনি কারো সঙ্গে মলিন চেহারায় কথা বলতেন না এবং মন্দ আচরণ করতেন না। তিনি সঙ্গী-সাথির খোঁজ রাখতেন এবং সাধারণ মানুষের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইতেন। ভালোকে ভালো বলতেন এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। মন্দকে মন্দ বলতেন এবং তা প্রতিহত করতেন। মধ্যমপন্থী ছিলেন এবং তাঁর কথায় কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি উম্মতের ব্যাপারে কখনো অমনোযোগী হতেন না, যেন তাদের ভেতর উদাসীনতা তৈরি হয়ে না যায় বা তারা ক্লান্তি বোধ করে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত থাকতেন। সত্য থেকে কখনো পিছপা হতেন না এবং তা উপেক্ষাও করতেন না। মানুষের ভেতর সর্বোত্তম ব্যক্তিরাই ছিলেন তাঁর সঙ্গী। সাহাবিদের মধ্যে তিনিই তাঁর কাছে উত্তম ছিলেন, যিনি সবচেয়ে বেশি কল্যাণকামী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি মর্যাদাশীল ছিলেন, যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতেন।
নবীজি (সা.) ওঠা-বসার সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। কোনো বৈঠকে উপস্থিত হলে তার শেষ প্রান্তে (যেখানে জায়গা পেতেন) বসে যেতেন এবং অন্যদেরও এমনটি করার নির্দেশ দিতেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতেন। তাঁর বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই নিজেকে সবচেয়ে সম্মানী মনে করত। কেউ কোনো প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে বা তাঁর সঙ্গে বসলে তিনি ধৈর্যসহ সময় দিতেন, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি উঠে যেত। কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাঁর প্রয়োজন পূরণ করতেন অথবা তাকে কথা দিয়ে সান্ত্বনা দিতেন। নবীজি (সা.)-এর হাসিমুখ ও উত্তম আচরণ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। তিনি ছিলেন তাদের জন্য পিতৃতুল্য। অধিকার লাভের ক্ষেত্রে সব মানুষ তাঁর কাছে ছিল সমান। তাঁর বৈঠক ছিল জ্ঞান, লজ্জা, ধৈর্য ও আমানতদারিতার বৈঠক। সেখানে কারো আওয়াজ উঁচু হতো না, কারো সম্মান নষ্ট করা হতো না, কারো দোষচর্চা করা হতো না। অংশগ্রহণকারী সবাই ছিল সমান—তবে আল্লাহভীতির ভিত্তিতে মর্যাদা লাভ করত। তারা ছিল বিনয়ী। ফলে বড়দের প্রতি সম্মান ও ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রকাশ করা হতো, যার প্রয়োজন আছে, তাকে প্রাধান্য দেওয়া হতো এবং ভিনদেশিদের ভালো-মন্দের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হতো।
উল্লেখ্য, হাদিসের প্রথম অংশ ইমাম তিরমিজি (রহ.) তাঁর ‘আশ-শামায়িলুল মুহাম্মাদিয়্যা’তে বর্ণনা করেছেন। অন্য অংশ হাদিসের অন্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। উল্লিখিত বিবরণটি সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)-এর ‘মুখতারাত’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত।
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- খানসামার সেই চাষিদের কাছ থেকে শসা কিনল স্বপ্ন
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- ৪০০ টাকার টিকিট ১৪০০ টাকা, তবুও মিলছে না
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- অতিরিক্ত ঘুমে হবে নানা ক্ষতি
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- যৌতুক ছাড়াই একসঙ্গে বিয়ে করলেন দুই বন্ধু
- নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন ৭ খাবার
- পানির অভাবে ৩৯ হাজার হেক্টর জমি সেচের বাইরে
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, আইপিএলে অন্যরাই তার থেকে শিখবে’
- বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
- তীব্র তাপপ্রবাহ বিষয়ে যা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)
- বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না: র্যাব ডিজি
- চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান