• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক নেতৃত্ব

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

শেখ হাসিনা শুধু পদ্মা সেতুই নির্মাণ করেন নি, তিনি পদ্মা সেতুর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এর বাইরেও চিন্তা করেছেন। শুধু চিন্তাই করেন নি, কাজও করেছেন। She actually looked beyond Padma Bridge. তিনি পদ্মা সেতু প্লাস চিন্তা করেছেন। যেমন,

(১) পায়রা বন্দর নির্মাণ
(২) পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, যা ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে গত মার্চ মাসে
(৩) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ 
(৪) মোংলা বন্দর সম্প্রসারণ 
(৫) পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে রেল লাইন নির্মাণ 
(৬) দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল 

সবকিছু যখন পূর্ণাঙ্গভাবে হয়ে যাবে, এর মাধ্যমে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে তা বাংলাদেশের জিডিপিতে ২ শতাংশেরও বেশি সংযোজন করবে বলে আমার বিশ্বাস এবং প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে দারিদ্র্য এবং অতি দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, শেখ হাসিনা যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন তখন আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার, আর পদ্মা সেতুর জন্য বাজেট ধরা ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। অনেকেরই ধারনা ছিল পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করতে গেলে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। 

কিন্তু শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই এগিয়েছেন। যখন তিনি পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করে উদ্বোধন করেন তখন আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, পদ্মা সেতু নির্মাণে কাজ এগিয়েছে এবং সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। যে কারণে শেখ হাসিনা সরকার আরও বিবিধ প্রকল্পের কাজও একই সাথে এগিয়ে নিতে পেরেছেন। 

ভুলে গেলে চলবে না যে, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব, এর মধ্যে দু’বছর করোনার অভিঘাতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জন্য করোনা মোকাবিলা করা ছিল অনেক বেশি জটিল, কারণ বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ। অথচ, এখন বলাই যায় যে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশের থেকে করোনা মোকাবিলায় অনেক বেশি সফল হয়েছে। একই সাথে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা হয়েছে। বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে রেমিটেন্সের হার বেড়েছে, রফতানি আয় বেড়েছে। 

পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমন, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এক ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি উল্টো ঘটেছে। এটি, অর্থনৈতিক পলিসি নেয়া এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার Pragmatic চিন্তার করণেই সম্ভব হয়েছে। 

শেখ হাসিনা শুধু আবেগ, সততা, দেশপ্রেম, দেশের প্রতি অঙ্গীকার এবং সাহসের সাথেই দেশ পরিচালনা করছেন না, তিনি একই সাথে ‘বাস্তবতা’ বিশ্লেষণও করছেন এবং মেপে ঝুঁকিও নিচ্ছেন। প্রতিটি গুণের সমন্বয়ে এ এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নেতৃত্বের উদাহরণ। 

এক সময় বলা হতো, What bengal thinks today India thinks tomorrow. আর আজকে বলতে হয়, What Sheikh Hasina thought yesterday and acted upon it, the economists are thinking it today.

লেখক : 
 অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত
চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন

Place your advertisement here
Place your advertisement here