বঙ্গবন্ধুর ঈদ, উৎসবের নয় ত্যাগের ঈদ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২ মে ২০২২

Find us in facebook
ঈদ মানেই আনন্দ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে উঠে, এটাই আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশের আর দশজন সাধারণ মানুষের মত ছিল না। কারণ স্বাধীনতার আগে, জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি জেলহাজতে কাটিয়েছিলেন। ফলে স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধুর অনেক ঈদও কেটেছে জেলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করার সুযোগ তিনি কমই পেয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধু বাসায় ঈদ করলে, সেটাই হতো পরিবারের জন্য ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়া। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা থেকে দু-একটি ঈদ (১৯৬৭-১৯৭২) পালনের কথা তুলে ধরছিঃ
১৯৬৭ঃ এ যেন ছিল ঈদের নামে এক ধরণের রসিকতা,বঙ্গবন্ধুকে ঈদ করতে হলো একা একা তাও একদিন আগে। ঢাকা কারাগারে বন্দি থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুকে সেবছর পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে ১দিন আগে অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ১৯৬৭ ঈদ-উল-ফিতর পালন করতে হয়েছিল। অথচ সেবার পরের দিন অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি ১৯৬৭ পূর্ববাংলার মানুষ ঈদ উদযাপন করেছিল।‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন,
‘১১ তারিখে রেণু ( বঙ্গমাতার ডাক নাম) এসেছে ছেলেমেয়ে নিয়ে দেখা করতে। আগামী ১৩ই জানুয়ারি ঈদ। ছেলেমেয়েরা জামা-কাপড় নেবে না। ঈদ করবে না, কারণ আমি জেলে। ওদের বললাম, তোমরা ঈদ উদযাপন কর, চিন্তা করিও না। জীবনে বহু ঈদ এই কারাগারে আমাকে কাটাতে হয়েছে, আরও কত কাটাতে হয় ঠিক কি? তবে কোনো আঘাতই আমাকে বাঁকাতে পারবে না। খোদা সহায় আছেন।’ ‘বাচ্চাদের সবকিছু কিনে দিও। ভাল করে ঈদ করিও, না হলে ওদের মন ছোট হয়ে যাবে।’
বঙ্গবন্ধু ভাবতেন, ‘ বাংলার জনগন সেইদিনই ঈদের আনন্দ ভোগ করতে পারবে, যেদিন তারা পরাধীনতা থেকে মুক্তি পাবে, এবং দেশের সত্যিকার নাগরিক হতে পারবে।’ কারণ তিনি ঠিকই জানতেন, পরাধীন থেকে কখনও ঈদের আনন্দ করা যায়না। ঈদ-উল-আযহা ছিল ২২ মার্চ ১৯৬৭। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আজ কোরবানির ঈদ। গত ঈদেও জেলে ছিলাম। এবারও জেলে। বন্দি জীবনে ঈদ উদযাপন করা একটি মর্মান্তিক ঘটনা বলা চলে। বারবার আপনজন বন্ধু-বান্ধব, ছেলেমেয়ে, পিতামাতার কথা মনে পড়ে।আমি তো একলা থাকি। আমার সাথে কোনো রাজনৈতিক বন্দিকে থাকতে দেয় না। একাকী কি ঈদ উদযাপন করা যায়?’ যদিও এমন বেদনার মধ্য দিয়েও বঙ্গবন্ধুকে ঈদের দিন পালন করতে হয়েছে।
১৯৬৯ঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু ঈদ পালন করতে তাঁর গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর মা সায়েরা খাতুন অসুস্থ ছিলেন। তেত্রিশ মাস একনাগাড়ে কারাবন্দী থাকার কারণে বিগত দু'বছরের ছয়টি ঈদ উৎসবের আনন্দ থেকে তিনি, তাঁর পরিবার ও দেশবাসী বঞ্চিত থেকেছে। অনেকদিন পর বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ফিরে এসেছিল ঈদের আনন্দ। আওয়ামী লীগে লেগেছিল প্রাণের সঞ্চার। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ এর নিবাচনের পথ সুগম হয়।
১৯৭১ঃ এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি বঙ্গবন্ধু কারাগারে, তবে এবার পশ্চিম পাকিস্তানের লায়ালপুরের কারাগারে। এ বছরের ২০ নভেম্বর ঈদ-উল- ফিতর পালিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই ২০ নভেম্বরের সেই ঈদ ছিল তাঁর জন্য অসহনীয় কষ্টের। কারণ, যে কোনো মুহূর্তে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। সেদিন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘মৃত্যুদন্ডের অপেক্ষায় থাকা বন্দির অন্তিম ইচ্ছাপূরণের মতো জেলার আমাকে কিছু ফল পাঠিয়েছিলেন। ঈদের নামে এটা এক ধরণের রসিকতাও হতে পারে। কিন্তু আমার আবারও মনে পড়ে গেল দেশে আমার জনগণের কথা এবং বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো আমার হৃদয়। মনে পড়লো ২৫ মার্চ রাতের নিষ্ঠুর দৃশ্য, যখন বলপূর্বক আমাকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়া হলো বাংলাদেশ থেকে এবং অন্তরে রক্তক্ষরণ শুরু হলো। আমার প্রিয় জনগণ কীভাবে তাদের ঈদ উৎসব পালন করছে? এই প্রশ্ন আমি করলাম, জানি না কাকে! সেই দিন, আবার কখনো তাদের দেখা পাবো কি না সেটা না জেনেই, আমি মোনাজাত করে আমার জনগণের মঙ্গল ও নিরাপত্তা দয়াময় আল্লাহতালার হাতে সমর্পণ করলাম। এটাই ছিল আমার ঈদ।’
ইনিই হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। ফাসিকাস্টে দাড়িয়েও তিনি তাঁর জাতির কথা ভাবতেন, ভাবতেন তাঁর জনগণ কীভাবে ঈদ করছে, সেজন্যই তিনি জাতির পিতা।
১৯৭২ঃ স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ঈদ। বাংলাদেশে তখন লাল সবুজের পতাকা উড়ছে। বাঙালিরা ভেঙে ফেলেছে শত বছরের বন্দীশালা। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে, দেশ গড়ার কাজ চলছে তাই পুরোদমে। তাই ১৯৭২ সালের ঈদ ভিন্ন মাত্রার। বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডির মাঠে নামাজ পড়লেন। কোনো প্রটোকল রাখলেন না। জনতার মাঝে বঙ্গবন্ধুর ঈদের নামাজ পড়লেন। নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে উপস্থিত মানুষজন তাঁর সাথে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রতিবেশীদের সাথে ঈদ-আনন্দ ভাগ করে নিতেই বঙ্গবন্ধু ভালোবাসতেন।
বাঙ্গালী বীরের জাতী, স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা জয় লাভ করেছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলা একটা যুদ্ধ, এ যুদ্ধেও আমাদের জয় হবেই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।
স্কোয়াড্রন লিডার ( অব) সাদরুল আহমেদ খান
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরো ২৩ জনের শনাক্ত, মৃত্যু নেই
- ‘গুপ্তধন পেতে জিনের বাদশাহকে ৮ লাখ টাকা দিয়েছি’
- লিচুকে ঘিরে দিনাজপুরে দৈনিক ১০ কোটি টাকার লেনদেন
- নীলফামারীতে দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ
- মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল পেলেন ২ বাংলাদেশি
- আগামীকাল দেশে আসছে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ
- ‘ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হবে’
- সারা দেশে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টি, থাকবে আরো পাঁচ দিন
- ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে সরকার’
- নির্মাণ হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু
- ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবির জীবনাদর্শ একই দর্শনের ধারাবাহিক রূপ’
- মিথ্যাচারের মামলায় বড় অঙ্কের জরিমানা দেবে টুইটার
- ক্ষমতায় যেতে উন্মত্ত হলেও নির্বাচনে অনীহা বিএনপির
- ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় লিভারপুল
- তাহসান-তিশার ভক্তদের জন্য সুখবর, আন্তরিকতার কমতি নেই দু’জনের
- একজন মুসলিম কখন নামাজ বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে
- সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মেধায় বাঙালি অনেক এগিয়ে: তথ্যমন্ত্রী
- সেভেরোদনেৎস্কে রুশ হামলায় নিহত ১৫০০
- দেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার এক বিরল দৃষ্টান্ত: কাদের
- পর্যটন প্রসারে প্রচারণায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে: মাহবুব
- দেশের ভালো হোক বিএনপি কখনোই চায় না: আইনমন্ত্রী
- সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব
- সনাতন কৃষি আধুনিকে রূপান্তরিত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
- যুব উন্নয়নে দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার
- কত ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন হজযাত্রীরা
- শেষ হলো ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ৫ লাখ ডলার পাচ্ছে ইউক্রেনে নিহত হাদিসুরের পরিবার
- ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ম্যানিপুলেট করা অসম্ভব: ড. জাফর ইকবাল
- বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান
- নবাবগঞ্জে বাঁশ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেলো যুবকের
- সাঘাটায় ট্রাফিক আইন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে ওয়ার্কশপ
- নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
- ঝড়ে গাছ উপড়ে রেললাইনের উপর
- প্রতিষ্ঠার পর কখনো জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেনি বিএনপি
- চাচার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেলো ভাতিজার
- নীলফামারীতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতা শুরু
- ১৩০ নেতার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে
- রংপুরে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো ছেলে
- ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ দেখতে নাইজেরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়
- কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
- বাসি খাবার ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন নতুন কিছু সুস্বাদু পদ
- নতুন সড়ক নয়, সংস্কারে জোর দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ কিশোরের, ভেসে ওঠল লাশ
- ২০২৫ সালে ফিস্টুলা মুক্ত হবে রংপুর: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
- `ভ্যাকসিনেশনে আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ`
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো
- বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
- ‘আর মারিস না বাবা, আমি তোর মা’, তবু মন গলেনি ব্যাংকার ছেলের
- কুড়িগ্রামে এক গুচ্ছগ্রামে থাকছে দুই জেলার মানুষ