• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকপাল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

খন্দকার জাহিদুল ইসলাম   

স্বপ্নটা ছিল বঙ্গবন্ধুর। জাতিকে সোনার বাংলা উপহার দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের স্রোতে পঁচাত্তরের কালরাতে ভেসে গিয়েছিল জাতির সমস্ত সুখ-স্বপ্ন। দিশা হারিয়েছিল স্বপ্নের সোনার বাংলা। তারপর কেটে যায় অনেক বছর। জাতি ডুবে থাকে ঘোর দুঃস্বপ্নে। অন্ধকার অমানিশা কাটিয়ে একদিন ভোর হয়। নতুন সূর্য, নতুন দিগন্তের সূচনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জাতির আশার পালে দোলা লাগে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মজার হাতেই এখন দেশ। শুধু সোনার বাংলা নয়, আধুনিক সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

যদিও পথ এতটা সহজ ছিল না। পথ ছিল বন্ধুর। পদে পদে মৃত্যুফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে সপরিবারে নিশ্চিহ্ন করার সেই মিশনে থেকে প্রাণে বাঁচলেও এরপর বহুবার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাতটা তো ২০০৪ সালের আগস্টেই। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাত্ক্ষণিকভাবে মানবপ্রাচীর গড়ে না তুললে এত দিনে এই বাংলায় হাহাকার ছাড়া কিছুই থাকত না। হয়তো বাংলার ভাগ্যাকাশে মেঘ জমতে দেবে না বলেই নিয়তি ঠিক করে রেখেছিল যে করেই হোক বাঁচিয়ে রাখতে হবে শেখ মুজিবের আত্মজাকে। বাংলা যেন খুঁজে পায় স্বাভাবিক গতিপথ।

নিয়তি নিজেকে সত্যি প্রমাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। স্বপ্ন দেখা জাতির ভবিষ্যৎ এখানেই সুনির্দিষ্ট হয়ে ওঠে। ঠিক হয় একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য। মানুষ খুঁজে পায় ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা। বঙ্গবন্ধুকন্যা হয়ে ওঠেন জাতির দিকপাল। দেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। এইতো সেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এককালের খ্যাতিমান ক্রিকেটার ইমরান খানকে সে দেশের বিশিষ্টজনরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, আগামী ১০ বছরে তিনি যেন পাকিস্তানকে বাংলাদেশ রূপে দাঁড় করান। এটিই তাদের কাছে ভীষণ মর্যাদার।

কী এমন মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েছেন বঙ্গকন্যা? তাঁর কোন জাদুতে দেশ আজ স্বপ্নের শিখরে? শেখ হাসিনার ছিল ‘দিনবদলের সনদ’। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি ঘুরেছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। পথ থেকে পথে ঘুরেছেন, কান পেতে শুনেছেন মানুষের নীরব আর্তনাদ। তখনই তিনি জাতির কাছে করেছিলেন দিনবদলের অঙ্গীকার। দেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে উন্নীত হবে। গড়ে তোলা হয় মাস্টারপ্ল্যান, এসডিজি, রূপকল্প-২০৪১। একের পর এক মহাপরিকল্পনা। দেশ উঠে যায় উন্নয়নের মহাসড়কে। এরপর শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের মহীরুহ। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত ক্যাটাগরি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে দেশ। অর্জিত হয়েছে উন্নয়নের সব সূচক। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশ এরই মধ্যে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভারতকেও আমরা ছাড়িয়ে গেছি। বিদেশের সংসদেও গর্বের সঙ্গে উঠে আসছে বাংলাদেশের নাম। এ অর্জন টাকায় কিনে পাওয়া যায় না। উন্নয়ন দিয়েই সুনাম অর্জিত হয়েছে। এ দেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

আগের কথা পরে বলি। যে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে সমগ্র পৃথিবী, সেই অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। শিকড় থেকে শিখর—সবখানেই শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা। শেখ হাসিনা হাতে ধরে দেখিয়ে দিলেন, কিভাবে এমন অদৃশ্য মহামারি মোকাবেলা করতে হয়। অথচ বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়াবহ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি, অধিক জনসংখ্যা, মারাত্মক অসচেতনতার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি মোকাবেলা সহজ ছিল না। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নির্দেশনা, যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে ভয়াবহ মৃত্যুর উপত্যকা হতে দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নির্দেশনায় বাংলাদেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ  পরিস্থিতি দেখতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ-ও বলেছেন, তাঁর কাছে একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে লড়তে গিয়ে প্রাণহানি যেভাবে কমিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি, তা সারা পৃথিবীতে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও), জাতিসংঘসহ বাঘা বাঘা রাষ্ট্রপ্রধানরা পর্যন্ত অবাক বিস্ময়ে দেখেছেন। অনেক উন্নত দেশ যেখানে অর্থ, চিকিৎসাসামগ্রী এবং বৈজ্ঞানিক সহায়তার দিক থেকে যোজন যোজন এগিয়ে, তারা পর্যন্ত করোনা মহামারির ভয়াবহতা থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে তুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অনেকখানিই স্বস্তি দিয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উঠে আসে বাংলাদেশ শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে ১৭তম করোনা মোকাবেলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে করোনা মোকাবেলায় তাঁর সরকারের দক্ষ নেতৃত্বের জন্য।

এই করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনীতি যখন স্থবির, তখনো দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। কভিড-১৯-এর প্রভাবে বৈশ্বিক মন্দা রেশ বাংলাদেশেও পড়তে পারে—এই আশঙ্কা ছিল খুবই বাস্তবসম্মত। অনেকে তার জন্য প্রস্তুতও ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় করোনা মহামারির পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা ছিল দেশ। যেটুকু ক্ষতি হয়েছিল, তা-ও খুব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার মতো দূরদর্শী ও স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকে এটির সমালোচনা করলেও এটি যে কতখানি দরকারি ছিল, তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেছে। তা ছাড়া করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন খাতে লক্ষাধিক কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণনব্যবস্থা স্বাভাবিক ছিল। এসব কারণে বাংলাদেশ অনন্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীর কাছে প্রশংসিত। বিশ্বের সমৃদ্ধ অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বিস্মিত করে বহুজাতিক সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবিকেও।

এ তো গেল করোনাকালীন অধ্যায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর কিছু পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখা যাক। তাতেই বোঝা যাবে তাঁর উন্নয়নের চিত্র। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যে বিদায়ি অর্থবছরে (২০২০-২১) বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৪৭ শতাংশ। তবে স্থির মূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ১১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ঋণাত্মক ১৩.৯৭ শতাংশ। যদিও সেই সময় এই পরিসংখ্যান আমলযোগ্য নয়। কারণ সদ্যঃস্বাধীন একটি দেশের ঘুরে দাঁড়াতেই কয়েক বছর লেগে যায়। ওই ভঙ্গুর পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য নেতৃত্বে মাত্র এক বছরের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৭.৩ শতাংশে।

মাথাপিছু আয়ে তো ঈর্ষণীয় সাফল্য। আর তা এসেছে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৮০০ ডলার ছিল। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২২৭ ডলার। অর্থাৎ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে প্রায় আড়াই শ শতাংশ বেড়েছে মাথাপিছু আয়। শুধু অর্থনৈতিক সূচক নয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার অন্য সব অঙ্গীকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর দ্রুত কিছু পরিকল্পনা হাতে নেন। দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে নেন নানা পরিকল্পনা। দিনবদলের সনদে তিনি বলেছিলেন, দেশের মানুষ সব দিক থেকে সমৃদ্ধ হবে। অভাব থাকবে না। মাথাপিছু আয় বাড়বে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করবেন। কলকারখানা গড়ে তুলবেন। অনেকে তখন হাস্যরস করেছিলেন। কল্পনাপ্রসূত বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমলে নিতে চাননি। কারণ তাঁরা নিজেরা কিছু করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যার অঙ্গীকারগুলো এখন আর নিছক গল্প নয়, সবই বাস্তব দৃশ্যমান। দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গড়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ওপর দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখানে আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। সৃষ্টি হচ্ছে লাখ লাখ কর্মসংস্থান।

পদ্মা সেতু তো বিশ্বের বিস্ময়। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কম হয়নি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা বিভিন্ন সময় দেশকে অন্ধকারজগতে ফিরিয়ে নিতে তৎপর, তাদের ষড়যন্ত্র এক মুহূর্তের জন্য থেমে থাকেনি। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বানচাল করতে বিদেশি দোসরদের এক টেবিলে বসিয়ে দুর্নীতির নাটক মঞ্চায়ন করে। তাতে শুধু সময়ক্ষেপণ হয়েছে, স্বপ্নভঙ্গ হয়নি। বরং নতুন উদ্দীপনায় দেশীয় অর্থায়নে গড়ে উঠছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই মহাপরিকল্পনা এখন প্রায় শেষের পথে। সেতুর দুই পারে সৃষ্টি হয়েছে অপার বিস্ময়। ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে বদলে দিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে একবার চলতে শুরু করলে আর যেন থামতে মন চায় না। এই সেতু খুলে দেওয়ার পর তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে জাতীয় অর্থনীতিতে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌঁছানো যাবে মাত্র ৪২ মিনিটে। ফলে রাজধানীর ওপর চাপও কমে আসবে।

রাজধানীতে অবস্থানরত দুই কোটির বেশি মানুষের নাভিশ্বাস নিত্যদিনের গল্প। শহরে ট্রাফিক জ্যামে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। এই ঝঞ্ঝাট থেকে শহরবাসীর মুক্তির পথও বেশি দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পগুলোর একটি হলো মেট্রো রেল। প্রথম ধাপের পরিকল্পনায় মেট্রো রেল চলবে উত্তরা থেকে মতিঝিল। রাস্তার জ্যাম যাবে জাদুঘরে। সময় বাঁচবে, বাঁচবে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা। অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে শহরবাসী। অত্যাধুনিক স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে। অবিকল উন্নত দেশের মেট্রো রেলের আদলেই।

এই মেট্রো রেলের পর একে একে ছয়টি রুটে মেট্রো রেল হবে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য এর আগে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল উন্নয়নের মতো কাজগুলো শহরবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। রাজধানীর যানজট এখন আগের তুলনায় কমই। এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের সংযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে কানেক্টিং ফ্লাইওভার এবং চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা আরো গতিশীল করতে সেখানেও এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক যোগাযোগ উন্নতকরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ববাণিজ্যের ফুসফুস বানাতে চান তিনি। তাঁর এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশ এগিয়ে যাবে আরো দ্রুত, আরো সহজে।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলা নামে ছোট্ট একটি ভূখণ্ড যখন জানতই না নিজেদের নিয়তিতে কী লেখা আছে, ঠিক সে সময় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কোল আলো করে পৃথিবীর মুখ দেখেছিলেন শেখ হাসিনা। দিনটি ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর। এক আলোকিত দিনে ধরায় জন্ম নেওয়া শিশুটিই আজকের মহীরুহ। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দিকপাল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার কাণ্ডারি। এক মৃত্যুঞ্জয়ী, সাহসিকা।

লেখক : সভাপতি, নিউ ইয়র্ক সিটি যুবলীগ

Place your advertisement here
Place your advertisement here