• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে জাতির পিতার ভাবনা ও পরিকল্পনা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

ডা. কামরুল হাসান খান   

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন ‘বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’ এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘একটি স্বাধীন, সার্বভৌম সুখী, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার।’ বাংলার মানুষের সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি গ্রহণ করেছিলেন সব রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং রাষ্ট্রীয় নীতিমালা। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে চাই একটি স্বাস্থ্যবান জাতি। এ জন্য তিনি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনি গ্রহণ করেছেন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা, অবকাঠামো রেখে গেছেন, যার ওপরে গড়ে উঠেছে আজকের বিশ্বনন্দিত অনেক কার্যক্রম।

সদ্যঃস্বাধীন বিধ্বস্ত, কপর্দকহীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য অহর্নিশ দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পরিশ্রম করে চলেছেন, তখন স্বাস্থ্য, চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রকে প্রাধান্য দিতে ভোলেননি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিদেশ থেকে ফিরে এসে চিকিৎসকদের আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৭২-এর ৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আইপিজিএমআরে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) কেন্দ্রীয় রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ ও নতুন মহিলা ওয়ার্ড উদ্বোধন করতে এসে দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা নিয়ে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর সেই ভাষণে ছিল সদ্যঃস্বাধীন দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা। সে ভাষণে তিনি দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষার পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা মন খুলে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ধ্যান-জ্ঞান-কর্মে সব সময় ছিল গরিব-দুঃখী মানুষ। তিনি চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গরিব রোগীদের মমতা দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শহীদ চিকিৎসকদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। শহীদ চিকিৎসকদের তালিকা পিজি হাসপাতালের দেয়ালে লিপিবদ্ধ রাখার জন্য তৎকালীন পরিচালক ডা. নূরুল ইসলামকে নির্দেশ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—১. চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে মানবতাবোধ, মনুষ্যত্ব ও সৎ থাকার পরামর্শ। ২. ওষুধে ভেজাল দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান। ৩. সবাইকে নিয়ম-কানুন মেনে সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা প্রচলনের আহ্বান। ৪. প্রতিটি থানায় এক বছরের মধ্যে ২৫ বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা। ৫. পরিবার-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা। ৬. ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীদের সেবার মনোভাব গ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশে মানসিক পরিবর্তনের আহ্বান। ৭. বিত্তবান লোকদের হাসপাতালে ওয়ার্ড তৈরি করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান। ৮. চিকিৎসক-নার্সদের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে আন্তরিক হওয়ার তাগিদ। ৯. নার্সিং শিক্ষার সুযোগ ও মান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ প্রদান। নার্সদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান।

চিকিৎসা একটি সম্মিলিত ব্যবস্থা—সেখানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে মানবিক দায়িত্ব হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানান। দেশের গরিব-মেহনতি মানুষ যেন সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা পায়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানের ১০(ক) ধারায় চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার এবং ১৮(১) ধারায় জনগণের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্যকে রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে সন্নিবেশিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সব স্বাস্থ্যভাবনা বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের জন্য গ্রহণ করেছিলেন, যা আজও আমাদের জন্য বড় পাথেয় এবং বর্তমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য।

১. অনুন্নত অঞ্চলগুলোয় স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের দ্বারা সমন্বিত ও ব্যাপক আকারে চিকিৎসাসেবা প্রদান।

২. তৃণমূল পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কার্যক্রমগুলোর মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে থানা স্বাস্থ্য প্রশাসকের নেতৃত্বে অনুন্নত অঞ্চলগুলোয় সর্বাধিক জন্মনিয়ন্ত্রণ অর্জন করা।

৩. নবজাতক ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার মাধ্যমে নবজাতক, শিশু ও মায়েদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।

৪. সংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণ নিশ্চিত করা এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণাগার কর্তৃক সমর্থিত মহামারি পরিষেবার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৫. শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং তাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ তৈরি করা। শিল্প শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা।

৬. বর্তমানে যেসব হাসপাতাল আছে সেগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে হাসপাতাল বেড বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। পরিকল্পনার সময়ের মধ্যে প্রতিটি অনুন্নত থানায় কমপক্ষে একটি ২৫ বেডের হাসপাতাল নির্মাণ করার মাধ্যমে প্রতি তিন হাজার ৫০০ জনের জন্য একটি করে হাসপাতাল বেডের লক্ষ্য অর্জন করা।

৭. মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল সুবিধা প্রদান এবং যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ক্যান্সার, মানসিক রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত হাসপাতাল বেডের ব্যবস্থা করা।

৮. স্নাতকোত্তর ও স্নাতক অধ্যয়নরত মেডিক্যাল, প্যারা মেডিক্যাল এবং নার্সিংকর্মীদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং পরবর্তী সময়ে তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক পরিষেবা শর্ত নিশ্চিত করা।

৯. অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে টিকাদান কর্মী নিয়োগ করা।

১০. প্রত্যেক জনগণের জন্য তাদের বাসস্থান ও কর্মস্থলে পরিবেশসম্মত পায়খানা, পানযোগ্য পানির সরবরাহ, বাসস্থানের সুযোগ-সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় নিশ্চিত করা।

বঙ্গবন্ধু সংবিধান ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন শুরু করেন। তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসাসেবার জন্য থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প আজও বিশ্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার এক সমাদৃত মডেল। বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রয়েছে—১. ইউনিয়ন স্বাস্থকেন্দ্র অন্তর্ভুক্তিসহ থানা পর্যায়ে হাসপাতাল সম্প্রসারণ। নতুন নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন। ২. সচিব পদে চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান। ৩. আইপিজিএমআরকে (পিজি হাসপাতাল) শাহবাগে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল হিসেবে স্থাপন। ৪. বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) প্রতিষ্ঠা। ৫. বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠা। ৬. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন। ৭. ১৯৭৩ সালে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান। ৮. চিকিৎসকদের সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান। ৯. নার্সিংসেবা এবং টেকনোলজির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ। ১০. উন্নয়শীল দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূলনীতি হলো—Prevention is better than cure। এ নীতিকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি স্থাপন করেছিলেন নিপসম (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ ও সোশ্যাল মেডিসিন)। ১১. যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা। ১২. জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান স্থাপন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ডা. আর জে গার্স্টের নেতৃতে একদল চিকিৎসক বিদেশ থেকে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে। ১৩. ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা। ১৪. পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর স্থাপন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর সুদীর্ঘ ২১ বছর চলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত ধারায়, পাকিস্তানি ভাবধারা অনুসরণ করে। যে কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সব উন্নয়ন ব্যাহত হয়, বঞ্চিত হয় সাধারণ মানুষ।

সুদীর্ঘ ২১ বছর লড়াই-সংগ্রাম-নির্যাতনের পর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিচালনায়ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা অগ্রগণ্য থাকে। তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন দেশে একটি গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থার কার্যকর বাস্তবায়ন।

দেশের চিকিৎসকরা এখন আর বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যায় না, দেশেই সৃষ্টি হয়েছে উচ্চশিক্ষার চাহিদামতো সুযোগ। প্রত্যেক ছাত্র মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার সময় মানবসেবার ব্রত হৃদয়ে ধারণ করে। এর আগে সুযোগের অভাব ছিল। গোটা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বাস্থ্যব্যবস্থার গ্রাম পর্যন্ত অভূত সম্প্রসারণ করে আমাদের সেই ব্রত পালন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর প্রতি দায়বদ্ধ থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই, তবেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে। আমরা এ দেশের চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসার সব সুযোগের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে যেন দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা করি।

লেখক : অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

Place your advertisement here
Place your advertisement here