কম ফলনেও দামে খুশি লিচু চাষিরা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩
Find us in facebook
লালমনিরহাটে চলছে মৌসুমি ফল লিচু বাজারজাত করণের উৎসব। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ায় এ বছর লিচুর ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে কম ফলেনও ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। মৌসুম শুরুর দিকে চাষিদের খানিকটা আক্ষেপ থাকলেও বাজার চাহিদা ও দাম এখন খুশির কারণ হয়ে উঠেছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় দেশি প্রজাতির (আটির লিচু) লিচু বাজারে এসেছে দুই তিন সপ্তাহ আগেই। এখন চলছে উন্নত বোম্বে ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু নামানো হচ্ছে।
কৃষকদের লিচুর বাগানগুলোর গাছে গাছে ঝুলছে রঙিন লিচুর থোকা। বাগান থেকে লিচু পেড়ে তা ঝুড়িতে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলা শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে লিচু নিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ এলাকায়। অনেক ফল ব্যবসায়ী লিচু বাগানে গিয়ে পছন্দ মতো লিচু কিনছেন। সবকিছু মিলিয়ে জেলায় এখন তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
লালমনিরহাটে এখনো পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ শুরু না হলেও অনেক ফল চাষিই ব্যক্তি উদ্যোগে বড় বড় লিচু বাগান করেছেন। এছাড়াও শৌখিন কিছু মানুষ বাড়ির আঙিনায় লিচুর চাষ করেছেন। অন্য ফল-ফসলের তুলনায় লিচুতে বেশি লাভ ও একই সাথে অর্থ পাওয়া যায় যা চাষিকে সমৃদ্ধ হতে সহায়তা করে। ফলে প্রতিবছর লিচু চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা, কুচলিবাড়ি, হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি, জাওরানি, বাগদিরবাজার, ফকিরপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর, দলগ্রাম, বলাইরহাট চাঁপারহাট, লোহাকুচি, শিয়ালখাওয়া, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি, পলাশী, নামুরী, কমলাবাড়ি, সাপ্টিবাাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লিচুর আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ফুলগাছ, দুরাকুটি এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে লিচুগাছ ও বাগান।
সদর উপজেলার ফুলগাছ এলাকার লিচু চাষিরা বলেন, প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার লিচুর উৎপাদন কিছুটা কম। তারপরেও লিচু ভাঙার শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা বাগানগুলোতে আগেভাগে এসে পুরো লিচু বাগান কিনে নিচ্ছেন। চাহিদার তুলনায় ফলন কম থাকার কারণে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে আসা লিচু ব্যবসায়ী হোসেন আলী জানান, এ বছর প্রতি হাজার লিচু বাগান থেকেই তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে তাকে। এর পাশাপাশি শ্রমিকের খরচ ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে ঢাকার পাইকারি বাজারে লিচু পৌঁছাতে প্রতি হাজার লিচুতে খরচ পড়ছে ৫ হাজার সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে ঢাকার বাজারে ৫ হাজার টাকার উপরে ভালো লিচু বিক্রয় হচ্ছে। এর আগের বছর একই লিচু বাগান থেকে ১ হাজার ২শ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে কিনেছিলেন বলে জানান তিনি।
অপর এক ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, ২-৩ দিন থেকে বাগানে বাগানে হাইব্রিড প্রাজাতির বোম্বে ও চায়না থ্রি লিচু ভাঙা শুরু হয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে সব জাতের লিচু বাজারে চলে আসবে।
লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত তিন জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়। এগুলো হলো মোজাফ্ফর বা দেশি লিচু, বোম্বাই ও চায়না-৩। এ ছাড়া কদমী, কাঁঠালী, বেদানা, চায়না-১ ও চায়না-২ জাতের লিচু চাষ হয়ে থাকে এখানে। সবার আগে বাজারে আসে মোজাফ্ফর বা দেশি লিচু। বোম্বাই ও চায়না-৩ লিচু কিছুদিন পরে পাকলেও বাজারে এর কদর বেশি। বিক্রিও হয় বেশি দামে। চায়না লিচু দেশি লিচুর মতো দেখতে হলেও আকারে ছোট হয়। খেতেও সুস্বাদু।
দুরাকুটি এলাকার আরেক লিচু চাষি সাহাবুল আলম জানান, এ বছর তার বাগানের ৭৫টি লিচু গাছের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০টি গাছে ভালো ফলন হয়েছে। লিচুর মুকুল আসার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বৃদ্ধির সময় বৃষ্টির অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে ভালো দাম পাওয়ায় সেই ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড়ে হাফিজুল নামে এক খুচরা ফল ব্যবাসায়ী বলেন, লিচুর মৌসুম খুব ছোট। রসাল এই ফলের প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশি। তাই দাম বেশি হলেও ক্রেতার অভাব হচ্ছে না বলে জানান।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর লালমনিরহাটের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এ বছর ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার লিচুর ব্যবসা হবে। প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ১২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন লিচু পাওয়া যেতে পারে। এই কৃষি কর্মকর্তার হিসাবে, এ বছর ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ গাছে লিচুর ফলন এসেছে বলেও জানান তিনি।
- হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
- ভ্রু ম্যাজিক
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
- ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- পাকিস্তান-ইরানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা
- ‘জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি’
- পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ জন
- আমিরাতে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ, সুস্থ আছেন নাবিকরা
- ঢিলেঢালা পোশাক ও যথাসম্ভব ছায়ায় থাকুন: চিফ হিট অফিসার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- ‘যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত’
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- ভূমিহীনদের ভূমি অধিকারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দিনাজপুরে হলিল্যান্ড কলেজে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
- রাজারহাটে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
- ঘোড়াঘাটে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা
- দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের ৫০০ বৃক্ষের চারা বিতরণ-রোপণ
- গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার
- গোবিন্দগঞ্জে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- গাইবান্ধায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার
- গাইবান্ধায় থেকে হজে যাবেন ৭৯৯ নারী-পুরুষ
- উলিপুরে উপজেলা নির্বাচনে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- দিনাজপুরে ‘বাঁশের চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা