• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

লাল মরিচে রঙিন চারদিক, ৭৫০ কোটি টাকা আয়ের আশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে পাকতে শুরু করেছে মরিচ। চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ তোলা আর শুকানোর কাজে। ফলন আর দাম ভালো হওয়ায় মরিচ চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক। স্থানীয় শ্রমিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমিকরাও কাজ করছেন মরিচ ক্ষেতে। ফলে চলতি বছরে লাল মরিচ থেকে ৭৫০ কোটি টাকার আয় হবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।  

এদিকে কৃষকের ক্ষেতে মরিচ তুলে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন গ্রামীণ নারীরা। সংসারের কাজ সেরে এ সময়টাতে চাষিদের ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে ব্যস্ত থাকছেন তারা। এতে তারা সংসারে বাড়তি আয় করতে পারছেন বলে জানান নারী শ্রমিকরা। তারা জানান, প্রতি কেজি মরিচ তুলে তারা পান ৭-৯ টাকা। দিনে তারা মরিচ তুলে পাঁচশ থেকে সাতশ টাকা পাচ্ছেন। আবার কেউ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন।

শ্রমিক হালিমা খাতুন ও আমেনা বেগম বলেন, সংসারের কাজ সেরে মরিচ তুলে আমাদের বেশ আয় হয়। বছরে ১৫-২৫ হাজার পর্যন্ত মরিচ তুলে আয় করতে পারি। এ টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়া ও হাত খরচ দিতে পারি। 

চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাাকায় এবার মরিচ আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা কেউ এক বিঘা, কেউ দুই বিঘা আবার কেউ তার বেশি জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। 

তেঁতুলিয়া উপজেলার মরিচ চাষি রুহুল আমিন ও সদর উপজেলার আফসার আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। বিঘায় ১০ থেকে ১৫ মণ শুকনো মরিচ পাওয়া যাবে। কাঁচা মরিচও বিক্রি করেছি। প্রতি মণ শুকনো মরিচ বিক্রি করছি সাড়ে ১২ হাজার টাকায়। বিঘায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও বেশ লাভবান হবে।

আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া সুখাতি গ্রামের কলিম উদ্দিন ও আলোয়াখোয়া গ্রামের ভবেন চন্দ্র বর্মণ জানান, এক একর জমিতে মরিচ আবাদ করতে প্রায় সাড়ে ৯১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ মণ শুকনো  মরিচ প্রতি মণ মরিচ ১২ হাজার টাকা ধরে চার লক্ষাধিক বিক্রি করেছেন। 

একই উপজেলার রাধানগর গ্রামের কৃষক আতিক হাসান উজ্জ্বল বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচ আবাদ করে শুধু কৃষক লাভবান হচ্ছে না। যারা মরিচ তোলার সঙ্গে জড়িত, তারাও আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিদিন তারা পাঁচশ থেকে সাতশ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছেন। একই কথা বলেন বোদা উপজেলার বেংহারি বনগ্রাম ইউনিয়নের ওসমান গণিসহ বেশ কয়েকজন মরিচচাষি।

স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুকনো মরিচ বাজারজাত ও বিভিন্ন বহুজাতিক কারখানায় সরবরাহ করার কাজে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার পাইকারি বাজারগুলো। ব্যবসায়ীরা জানান, পঞ্চগড়ের মরিচের আকার, বর্ণ ও স্বাদের কারণে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এসব মরিচ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাজারগুলোতে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। প্রতিদিনই এ এলাকার কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচ কিনতে ছুটে আসছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে মরিচের খুব ভালো আবাদ হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছে চাষিরা। জেলায় ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। আর ২২ হাজার ৭১০ টন মরিচ উৎপাদন করে ৭৫০ কোটি টাকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here