• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

৬ নম্বর সেক্টরের প্রথম শহিদ লুৎফর রহমান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টরের প্রথম শহিদ হন লুৎফর রহমান ।তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা। এই শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী ২৮ মার্চ। ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পালন করতে যাচ্ছে শহিদ লুৎফর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী।

মঙ্গলবার দুপুরে ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে থাকা শহিদ লুৎফর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, যোহরের নামাজ শেষে তার কবরের পাশে সুরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া, সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।

শহিদ লুৎফর রহমানের সহযোদ্ধা, ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদের লেখক, কবি ও স্থানীয় সাংবাদিকরাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত থাকবেন।  

শহিদ লুৎফর রহমানের কবর পরিষ্কারের কাজ করেন ফুলবাড়ী উপজেলার শ্রমিক মনছুর আলী।

তিনি বলেন, তিনি দেশ স্বাধীন করার জন্য পাকসেনাদের গুলিতে মারা গেছেন। তার জন্য আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

মহান স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধে বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বাঙালিরা সোচ্চার হতে থাকেন। ১৯৭১ এর ২৮ মার্চ ভূরুঙ্গামারীর জয়মনি থেকে আসা একদল পাকহানাদার ফুলবাড়ীতে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনাটি জানতে পেরে গংগারহাট বিওপির ইপিআরে কর্মরত থাকা লুৎফর রহমান ও ফুলবাড়ীর মুক্তিযুদ্ধের সফল সংগঠক বীর প্রতীক বদরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে সংগঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল। পাকসেনাদের পরাস্ত করার জন্য তাদের পিছু নেয়। পরে ফুলবাড়ী থেকে ধরলা নদীর কুলাঘাট পার হয়ে লালমনিরহাট সদর এলাকায় পাকসেনার দলটি পৌঁছলে সেখানেই পজিশন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ শুরু করেন।

এ সময় সহযোগীদের কাছ থেকে গুলি চাওয়ার সময় মাথা উঁচু করলে পাক হানাদারের গুলিতে শহিদ হন লুৎফর রহমান।

ফুলবাড়ীর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর প্রতীক বদরুজ্জামান মিয়া জানান, এই যুদ্ধটিই ৬ নম্বর সেক্টরের প্রথম যুদ্ধ। এই সেক্টরের প্রথম শহিদ মুক্তিযোদ্ধা হলেন লুৎফর রহমান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here