• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে ৬ দিন পর আবার ফিরেছে কুয়াশা ও ঠান্ডা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

মাঝখানে ছয় দিন বেড়েছিল উষ্ণতা। মাঘের মাঝেও ছিল ফাল্গুনের টান। সাধারণ মানুষ কেউ কেউ মনে করেছিল শীত বুঝি গেল! ছয়দিন বাদে শীত ফিরেছে দুর্ভোগ নিয়ে। শনিবার থেকে বেড়েছে কুয়াশা। সঙ্গে উত্তরের হিম বাতাস। এতে আবারও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কাজের জন্য বের হওয়া মানুষজন।

রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি। চারদিকে দেখা গেছে কুয়াশা।

শহরের কলেজমোড়ে অটোরিকশা চালক আব্দুল আলীম চাঁদর জড়িয়ে বেরিয়েছেন রাস্তায়। বাড়ি কেতার মোড়ের পাশে। তিনি বলেন, ‘কয়দিন গরমের মতো গেলো। মোটা কাপড় নিয়ে বের হইনাই। কালকের হঠাৎ ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি বাড়ি গেছি। আজ বের হইলং এই যে (গায়ে দেখিয়ে) পরি। তাও ঠান্ডা।’

শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামের সামনের সড়ক দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন যুবক শহিদুলসহ একটি দল। ইট ভাটায় কাজ করেন তারা। কথা বলতে চাইলে শহিদুল বলেন, ‘কন; সমায় নাই। ঠান্ডাত পরি দেরি হইছে।’ দলের সোহেন রানা বলেন, ‘কয়দিন শীত নাই। মনে করলং গরম পড়িল। দুইদিন থাকি ফির ঠান্ডা।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরাঞ্চলগুলো আচ্ছন্ন ছিল কুয়াশার চাদরে। রোববার বেলা বাড়লেও দেখা মেলেনি সূর্যের।

এদিকে ঠান্ডায় রোগী বেড়েছে হাসপাতালেও। সকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হঠাৎ ঠান্ডা, হঠাৎ গরম- এরকম আবহাওয়ার কারণে মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় বিশেষ করে শিশুদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সর্দার জানান, হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩৬৮ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬৫ জন। মোট শিশু রোগী ৭৯ জনের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগী ৮ শিশু বেশি অসুস্থ।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন জানান, রোববার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তুলনামূলক ঠান্ডার তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানান তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here