• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পিঠা বিক্রি করেই হেলালের মাসে লাভ ৩০ হাজার টাকা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাস্তার পাশে মাথার উপরে পলিথিনের চালা দেওয়া ছোট্ট দোকান। দোনটিতে চালের গুড়ার সাথে লবন, মরিচ ও গোটা একটি ডিমের সংমিশ্রণ তেলে ভাজা হচ্ছে। মুখরোচক এই পিঠার নাম ‘ডিম পিঠা’। আর এই পিঠা খেতে নানা বয়সী নারী-পুরুষের ভিড়। শীতের তীব্রতাকে হার মানিয়ে সকলে এসেছেন এই পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে।

ছোট্ট এই দোকানটির দেখা মেলে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হিলি-ঘোড়াঘাট রাস্তার ধারে ডুগডুগিহাট বাজারে। দোকানটির মালিক হেলাল মিয়া (৪৩)। তিনি উপজেলার পালশা ইউনিয়নের পুড়ইল-মোল্লাভাগ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। ডিম পিঠার পাশাপাশি তার দোকানে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন ভাপা ও চিতই পিঠা, পিয়াজু ভাজা এবং সেদ্ধ ডিম।

গত প্রায় এক যুগ থেকে এই করে আসছে হেলাল। মৌসুমের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন হয় তার দোকানের খাবার। গরম কালে সে বিক্রি করে পিয়াজু, রশুন ও বেগুনি সহ নানা রকমের তেলে ভাজা চপ। এই দোকান করে হেলালের মাসে আয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

করোনা মহামারী কিংবা অর্থনৈতিক মন্দা! কোন কিছুই বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি হেলালের সংসার। ছোট্ট এই দোকান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলছে হেলালের চার সদস্যর পরিবার এবং দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। সব মিলিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটছে হেলালের।

সন্ধায় হেলালের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের দুইধাঁরে বেঞ্চে বসে আছে কয়েকজন লোক। এরপাশে দোকানটি ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। এদের মধ্যে অনেকে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় পিঠা খাবার জন্য পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

হেলালের দোকানে ডিম পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা এবং ভাপা পিঠা ১০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও তেলে ভাজা পিয়াজু বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা প্রতি পিস। দোকানে চিতই পিঠার সাথে দেওয়া হচ্ছে সরিষা ও বাদামের ভর্তা এবং ভাপা পিঠার সাথে দেওয়া হচ্ছে গুড়।

ডিম পিঠা বানানোর ফাঁকে কথা হয় হেলালের সাথে। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমার দোকানে গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেঁচাকেনা হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে সেখান থেকে গড়ে আমার লাভ হয় ১ হাজার টাকা। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় দোকান শুরু করি এবং রাত ১০ টায় বন্ধ করি। সব মিলিয়ে সুখেই আমার সংসার চলছে। উপার্জিত অর্থ থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করছি। মেয়েরা বড় হচ্ছে  তাদের ভবিৎসতে কাজে দেবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here