• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

সড়কের পাশে ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন ভারসাম্যহীন নারী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের সামনে ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন রনজিনা বেগম (৪০)। সন্তান প্রসবের পর তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে বসে ছিলেন তিনি। পরে ওই সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে এগিয়ে আসেন চার নারী।

এর মধ্যে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অবগত করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

মানসিক ভারসাম্যহীন রনজিনা বেগম (৪০) পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমতলা এলাকার খতিবর রহমানের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি ধাক্কামারা ইউনিয়নের লাঠুয়াপাড়া এলাকায়।

এদিকে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার পরিচয় শনাক্ত হয়। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও ওই ভারসাম্যহীন নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার এক আত্নীয়ের বাড়িতে নেয়া হয়েছে। তবে খবরের পর শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বার পর মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় স্বামীর বাড়িতে না থেকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন সেই নারী। রোববার দুপুরে হঠাৎ প্রসব ব্যথা উঠলে সড়কের পাশে সন্তান প্রসব করে বসে থাকেন তিনি। ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নায় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চার নারী বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরমধ্যে তারা ৯৯৯ -এ বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুসহ ভারসাম্যহীন নারীকে দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। এদিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে শিশুসহ ওই নারীর খোঁজ খবরসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফজলে রাব্বি বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সিভিল সার্জনকে অবগত করে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এখন তারা সুস্থ রয়েছেন। তবে ওই নারী ভবঘুরে।

সদর থানার এসআই ভবেশ চন্দ্র পাল বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ওই নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here