• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

হাড় কাঁপানো শীতে চায়ের কাপে উষ্ণতার খোঁজ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধায় গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাসও। দিনে কিছুটা সহনীয় থাকলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। পাশাপাশি শীতে জবুথবু মানুষগুলো উষ্ণতার খোঁজে ভিড় করছেন পাড়া-মহল্লা, মহাসড়কের পাশে ও গ্রামের চায়ের দোকানে। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানগুলোর সামনে এখন চোখে পড়ে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন।

চায়ের দোকানে কথা হয় গাইবান্ধা পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা যে শুধু শীতলতা কাটিয়ে উষ্ণ করে তোলে তা নয়, নিয়ে আসে স্বস্তির আমেজ। একই সঙ্গে গড়ে তোলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।’

চা খেতে আসা ডা. উত্তম দেবগুপ্ত বলেন, ‘শীতের কাঁপুনি নিয়ে জড়সড় হাতে এককাপ চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি মেলে। তবে শুধু স্বস্তি নয় চায়ের অনেক গুনাগুণও আছে। রং চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে পান করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। এ চা বিতৃষ্ণা ও বমির ভাব দূর করে।’

চা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ‘দোকানে বেচাবিক্রি সারাবছরই ভালো। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের বিক্রিও বেড়েছে দ্বিগুণ। সাধারণত এখানে দুধ, লাল, লেবু, মাল্টাসহ আদা ও বিভিন্ন মসলা মেশানো চা বিক্রি হয়। তবে শীতে খেজুরগুড়ের তৈরি স্পেশাল চায়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।’

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক রিয়াজ মিয়া বলেন, ‘রিকশা নিয়ে সকালে বের হলেও আশানুরূপ ভাড়া পাইনি। শীতের কারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে কম। আর রিকশায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় মানুষ পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।’

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ আট জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সোমবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

তিনি আরও বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় ঘন কুয়াশা, সূর্যের তাপ কম থাকা, হিমেল বাতাস এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। মাসজুড়েই এ অবস্থা বিরাজের সম্ভাবনা আছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here