• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ফুলবাড়ীতে শোলার কদম ফুল তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শারদীয় দুর্গাপূজায় শোলার তৈরি ফুল দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে শোলার তৈরি ফুল তৈরির কাজে নিয়োজিত উপজেলার দুই গ্রামের ফুল তৈরির কারিগরসহ তাদের পরিবারের লোকজন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পূজার উপাচার থেকে প্রতিমা মণ্ডপ সজ্জার সরঞ্জামের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বেশি। 

জানা যায়, দুর্গাপূজা মানেই শোলার চাঁদমালা, মুকুট, কদম কিংবা ঝোরা ফুল। তবে দুর্গা পূজার আগে শোলার এসব ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় অনেক বেশি। কারণ শোলার তৈরি কদম ফুল দেবী দুর্গার সন্তুষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে শুভ কাজ বা মানতের জন্য ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ মুহূর্তে শোলার ফুল তৈরির কারিগররা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

কারিগররা বলছেন, কাঁচা শোলার  সংকটের জন্য শোলা কিনে নিতে হচ্ছে। পরিশ্রমের তুলনায় আয় কম হওয়ায় বর্তমান প্রজন্মের কেউই এই পেশায় আসতে চায় না। তবে শত কষ্টের মধ্যেও এখন অনেকে বাপ-দাদার এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। উপজেলা আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাই চেয়ারম্যানপাড়া ও খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ১২ থেকে ১৫ টি পরিবার এ পেশায় নিয়জিত।  

লক্ষ্মীপুর গ্রামের শোলার তৈরি কারিগর গোবিন্দ চন্দ্র (৬০) বলেন, শোলা দিয়ে তারা কদম ও ঝরা দুই ধরনের মালা তৈরি করেন। উপজেলা সদরের দোকান ছাড়াও জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতারা মালা কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে শোলা পাওয়া যায় না তাই এই পেশা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। শোলা পাওয়া গেলেও অনেক দূর দূরান্ত থেকে তা সংগ্রহ করতে হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পূজার মধ্যে শোলার তৈরি কদম ফুল, ঝোরা ফুল তৈরির মাধ্যমেই এ শিল্পকর্মটি বেঁচে আছে। বংশ পরম্পরায় তারা এ পেশার সঙ্গে যুক্ত।

বরাই চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের শোলার তৈরি ফুল কারিগর বাবুল চন্দ্র মহন্তর স্ত্রী রঞ্জনা রানী বলেন, আগে পরিত্যক্ত নিচু জমিতে শোলা জন্মাতো। কিন্তু এখন জমির মালিকেরা জমির আগাছা পরিষ্কার করে চাষাবাদ করায় শোলর সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বর্তমানে পঞ্চগড়, নীলফামারী, বীরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শোলা কিনে আনতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।  

উপজেলার পালপাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপের পুরোহিত শিবায়ণ চক্রবর্তী বলেন, শোলার তৈরি কদম ফুল ঠাকুর (দেবী দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী) সন্তষ্টির জন্য অর্ঘ করা হয়। শোলার কদম বা ঝোরা ফুল শুভ কাজ বা মানতের জন্য ব্যবহার হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঘরের দরজায় এই ফুল টানিয়ে রাখেন যাতে কোন অশুভ শক্তি ঘরে ঢুকতে না পারে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here