• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মকবুল হোসেনের ছেলে সামসুল হোসেন বাবলু এবং একই এলাকার আবুল হোসেন সরকারের ছেলে তসলিম উদ্দিন সরকার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা সন্তানদের নিয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে বসবাস করেন। তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ঐ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশী হাফিজুল ইসলাম। প্রেমের এক মাস যেতে না যেতেই তাকে কেনাকাটা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটে নিয়ে যান হাফিজুল।

লালমনিরহাটে নিয়ে আসার পর তাকে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য বাবলু নামক এক ব্যক্তির হাতে তাকে তুলে দেন। বাবলু শহরের স্টেডিয়ামপাড়ায় তার ভাই নুরুজ্জামানের বাসায় নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে একটি গাড়িতে ঢাকায় পাঠান।

লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীকে ফরিদপুরের এক নারী পাচারকারী সদস্যের কাছে পাঠানোর জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথাও স্বীকার করেছেন তারা। ঐ ব্যক্তি তাকে ঢাকার গাবতলীতে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রাতেই এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ধর্ষকদের চিহ্নিত ও ঘটনাস্থল নিশ্চিত হওয়ার পর ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা করার পর ঐ রাতেই দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবেই তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, মেয়েটিকে পাচার করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র সক্রিয় ছিল। অন্য আসামিদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here