• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

প্রেমিকাকে কাজি অফিসে নেয়ার কথা বলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রফতার ২

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রং নাম্বারে পরিচয়ের পর মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদীর এক তরুণী। এ ঘটনায় গত শনিবার গভীর রাতে ঐ তরুণী বোদা থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরো তিনজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

এদিকে মামলার পর অভিযান চালিয়ে প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ধর্ষণের এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুইজনকে রোববার বিকেলে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন জেলার বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে প্রেমিক আব্দুল মালেক, তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন, আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন। তাদের মধ্যে বাকি আপন ও আশরাফুল পলাতক রয়েছে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদী জেলার ঐ তরুণীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে এবং প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়র বোদায় চলে আসে ঐ তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় প্রেমিক মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িত তাকে নিয়ে যায়। ঐ বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণও আসে। বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সেখান মেয়েটি থাকত রাজি হয়নি। পরে বিয়ের জন্য রাতেই তাকে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল মেয়েটিক ধর্ষণ করে। এ সময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরো দুই-তিনজন পাহারায় ছিল। তবে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইট নিয়ে এগিয় আসলে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রফতার করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে বহনকারী একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজন আদালত স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা থানায় এসেছনে। তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here