• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কুড়িগ্রামে আবারও পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

উজানের বৃষ্টি ও ঢলে আবারও কুড়িগ্রামে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ধরলা ও দুধকুমারের পানি। ফলে নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার অন্তত ৬০টি চর গ্রাম ও নদীসংলগ্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই উঁচু ভিটা, রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।

এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও সবজিক্ষেত ডুবে গেছে। গ্রামীণ সড়কগুলোর ওপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় যাতায়াতের ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন আরো পানি কমতে পারে বলে জানান তিনি।  

তবে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মাঝারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
 
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের আতাউর রহমান মিন্টু জানান, এই ইউনিয়নের মেকলি, পূর্ব ও পশ্চিম ধনিরাম, বড়ভিটা ও বড়লই গ্রামের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ।

সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন জানান, কদমতলা, শিতাইঝাড়, নওয়াবশ, গোবিন্দপুরসহ ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সব গ্রামে পানি ঢুকেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, নতুন করে বন্যা দেখা দেওয়ায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতাসহ নানা রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য নতুন করে ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া শুকনো খাবার ক্রয় করে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here