• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

শাশুড়ির অসামাজিক কাজে বাধা দেয়ায় মেয়ের জামাইকে গলা কেটে হত্যা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শাশুড়ির অসামাজিক কাজে বাধা দেয়ায় মেয়ের জামাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় একদিন পর শ্বাশুড়িসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতার দুইজন হলেন উত্তরা আবাসনের নজরুল ইসলাম ওরফে আতাউলের স্ত্রী ও নিহত যুবক আলমগীর হোসেনের শাশুড়ি আবেদা খাতুন ওরফে হাইজানী এবং প্রতিবেশী আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. শাহিন।

জানা যায়, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাঙ্গালি পট্টির ২৪/৭ নম্বর বাসায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে থানায় নিয়ে আসে। 

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই উল্লাহ হক প্রধান জানান, নিহত আলমগীর হোসেন প্রায় সাত বছর আগে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে আতিকা পারভীনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু আলমগীরের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় শ্বশুড়বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিল।

ঘটনার দিন আলমগীর হোসেন অটোরিকশা চালিয়ে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে শ্বশুড়বাড়িতে আসেন। এ সময় তার স্ত্রী পেশাগত কারণে উত্তরা ইপিজেডে অবস্থান করছিল। শ্বশুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে শোয়ার ঘরের বিছানায় গলা কাটা অবস্থায় আলমগীরকে দেখতে পায় তার শাশুড়ি। 

স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে আলমগীরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। 

নিহতের স্ত্রী আতিকা পারভীন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে স্বামী আলমগীর ঘুমের ঘোরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। এ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে তিনি মনে করেন। তবে নিহতের বড় ভাই আতিকুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি সাজানো উল্লেখ করে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন।

নিহতের ভাই আতিকুলের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শ্বাশুড়ি জামাইকে হত্যার কথা শিকার করেন। তাকে সহযোগীতা করেন প্রতিবেশী আবাসনের বাসা নং ২৪/৩ এর বাসিন্দা আমিনুলের ছেলে শাহিন। এর ফলে আটক অপর দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

এলাকাবাসীর ভাষ্য, শাশুড়ি আবেদা খাতুন প্রতিবেশী শাহিনের সহযোগীতায় ২৪/৭ নং বাসায় বিভিন্ন বয়সী মেয়ে এনে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে। মেয়ে ও জামাই পেশাগত কাজে বাইরে থাকার সুযোগে এই অসামাজিক কাজ চালাতো তারা। অটোচালক মেয়ে জামাই বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রতিবাদ করে। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন বিকেল ৫ টার দিকে আলমগীর বাসায় এসে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। 

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে হাজিয়ানী। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারদের নীলফামারী জেলা  আদালতে সোপর্দ  করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহ্নত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here