• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ব্যস্ততা বেড়েছে তিস্তার পাড়ের নৌকার কারিগরদের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

আসছে বর্ষা মৌসুম। প্রতি বছরই এ মৌসুমে নীলফামারীর তিস্তা নদী বেষ্টিত নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তাইতো এবার বর্ষার আগেই তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে চলছে নৌকা তৈরির ধুম। সেইসঙ্গে মেরামত করা হচ্ছে পুরোনো নৌকা। 

তিস্তা তীরবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় নৌকার ব্যবহার কমে যায়। তবে বর্ষা এলেই তিস্তা হয়ে ওঠে যৌবনা, টইটম্বুর। তখন তিস্তা র্তীরবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে, কৃষক ও বাসিন্দাদের প্রধান ভরসা হয়ে ওঠে নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম এলেই বেড়ে যায় নৌকার কদর। বেড়ে যায় পুরোনো নৌকা মেরামতের ধুম। 

সরেজমিনে তিস্তা তীরবর্তী চর কিসামত, ডালিয়া ব্যারাজ, চর খড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, ভেন্ডাবাড়ি চরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবাই নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ পুরাতন নৌকা আরও ভালো করে মেরামত করছেন।

চর কিসামত ঘাটের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানি কম থাকে। এ সময় পুরোনো নৌকাগুলো মেরামত করে নিতে হয়। ইতোমধ্যে আমার একটি বড় নৌকাসহ তিনটি নৌকা মেরামত করে বর্ষার জন্য প্রস্তুত করেছি। ৩ টন ধারণ ক্ষমতার নৌকা মেরামতে বর্তমান সময়ে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। একই নৌকা নতুন করে বানাতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। 

তিনি আরও বলেন, ১০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নৌকা তৈরিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এ সময় নৌকা কারিগরদের দামও অনেক বেড়ে যায়। হাত হিসেবে নৌকা মেরামতের মজুরি নির্ধারণ হয়। প্রতি হাত নৌকা মেরামতে ১০০ টাকা দিতে হয়। এভাবে প্রতিটি বড় নৌকা মেরামতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা কারিগরদের মজুরি দিতে হয়। এমনকি চলতি মৌসুমে নৌকা মেরামত করে যাওয়ার সময় কারিগরদের আগামী মৌসুমের জন্য অগ্রিম টাকাও প্রদান করতে হয়।

নৌকা কারিগর মাহমুদ আলী বলেন, নৌকা তৈরি ও মেরামত আমার পূর্ব পুরুষের পেশা। গত ৪০ বছর ধরে এ পেশা ধরে রেখেছি। প্রতি মৌসুমে ছোট-বড় প্রকারভেদে ২০টি নৌকা তৈরি করে থাকি। পুরাতন নৌকাও মেরামত করি। এখন চলছে নৌকা মেরামতের শেষ সময়। ছোট নৌকা তৈরিতে দুই থেকে চার এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। নতুন নৌকা তৈরিতে বিশেষ করে আকাশমণি, মেহগনি, কড়াই, ছামালিশ গাছ বেশি ব্যবহার হয়। ছোট নৌকা তৈরিতে ১০-১২ হাজার এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫-৩০ হাজার টাকা এবং পুরোনো নৌকা মেরামতে নৌকার আকার অনুযায়ী ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি পাই।

ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন বলেন, বর্ষা মৌসুমে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই এ সময়ে নৌকা তৈরি ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। চরের মানুষ শুকনো মৌসুমে তিস্তায় মাছ ধরে এবং কৃষি শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here